
Mohun Bagan Day 2025: ১৯১১ সালে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসেবে আইএফএ শিল্ড (IFA Shield) জেতে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। সেই দলে যে ১১ জন ফুটবলার ছিলেন, তাঁরা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে কিংবদন্তি। কিন্তু সেই দলে না থাকা একজন ফুটবলারও শিল্ড জয়ী দলের সদস্যদের মতোই ব্যাজ পেয়েছিলেন। মোহনবাগানের প্রতি আনুগত্যের জন্যই তাঁকে এই সম্মান জানানো হয়েছিল। এই ফুটবলারও কিংবদন্তি। তাঁর নাম গোষ্ঠ পাল (Gostha Pal)। যাঁকে ব্রিটিশরাই 'চিনের প্রাচীর' নাম দিয়েছিল। কারণ, সেই সময় প্রতি দলে পাঁচজন করে ফরোয়ার্ড থাকতেন। রক্ষণে থাকতেন মাত্র দু'জন। তা সত্ত্বেও গোষ্ঠ পালকে টপকে গোল করতে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হত বিপক্ষ দলের ফরোয়ার্ডদের। এই কারণেই সবার শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছিলেন এই ডিফেন্ডার। এখনও ভারতীয় ফুটবলের কথা উঠলে শ্রদ্ধার সঙ্গে যাঁদের নাম স্মরণ করা হয়, তাঁদের অন্যতম গোষ্ঠ পাল।
গোষ্ঠ পালের ছেলে নীরাংশু পাল জানিয়েছেন, '১৯১৫ সালে মোহনবাগানের তৎকালীন ফুটবল সচিব শৈলেন বসু বাবাকে ডেকে বলেন, ১৯১১ সালে ক্লাব আইএফএ শিল্ড জেতার পর আমি ১২টি ব্যাজ তৈরি করেছিলাম। ওই দলের ১১ জনকে ১১টি ব্যাজ দিয়েছিলাম। একটি আছে, সেটি তোমাকে দিচ্ছি। তুমি কথা দাও, কোনওদিন ক্লাব ছেড়ে যাবে না। বাবা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দেওয়া এক লক্ষ টাকা এবং পার্ক স্ট্রিটে একটি বাড়ির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি কোনওদিন মোহনবাগান ক্লাব ছাড়েননি।'
২০১৯ সালে গোষ্ঠ পালের পরিবার জানতে পারে, মোহনবাগান ক্লাবে সংগ্রহশালায় রাখার জন্য দেওয়া পদ্মশ্রী, ১৯১১ সালের ব্যাজ-সহ বহু স্মারক নিখোঁজ। এরপর একদিন এই কিংবদন্তির পরিবারকে ক্লাবে ডেকে কিছু স্মারক ফেরত দেওয়া হয়। তবে পদ্মশ্রী, ১৯১১ সালের ব্যাজের খোঁজ মেলেনি। সেদিনই ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করে গোষ্ঠ পালের পরিবার। কিন্তু পুলিশ কোনও সন্ধান দিতে পারেনি। এই আফশোস, বেদনা, যন্ত্রণা, ক্ষোভ আজও গোষ্ঠ পালের পরিবারকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।