পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ, নতুন নজির ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর

পর্তুগালের হয়ে ১৯৭ ম্যাচ খেলে ১২০ গোল হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। ইউরো ২০২৪-এর যোগ্যতা অর্জন পর্বে লিশটেনস্টাইনের বিরুদ্ধে জোড়া করলেন 'সিআরসেভেন'। তিনি পুরুষদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড আগেই গড়েছিলেন। এবার সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও গড়লেন।

কাতার বিশ্বকাপের প্লে-অফে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে রাখেননি পর্তুগালের তৎকালীন কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। মরক্কোর কাছে হেরে পর্তুগাল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। বিশ্বকাপের পর সরে যেতে বাধ্য হন স্যান্টোস।

লিসবনে ইউরো কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে লিশটেনস্টাইনের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পেল পর্তুগাল। এই ম্যাচের ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় পর্তুগাল। প্রথম গোল করেন হোয়াও ক্যান্সেলো। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ এগিয়েছিল পর্তুগাল। ৪৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন বার্নার্ডো সিলভা। এরপর ৫১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম ও দলের তৃতীয় গোল করেন রোনাল্ডো। ৬৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ব্যবধান বাড়ান তিনি।

২০০৩ সালের ২০ আগস্ট পর্তুগালের সিনিয়র দলের হয়ে অভিষেক হয় ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। ২০০৪ সালের ইউরো কাপে গ্রিসের বিরুদ্ধে সিনিয়র জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোল করেন এই তারকা। এখনও তিনি জাতীয় দলের সবচেয়ে বড় ভরসা।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো লিখেছেন, 'জাতীয় দলের হয়ে ফের খেলার সুযোগ পেয়ে এবং গোল করতে পেরে আমি খুব খুশি। বিশেষ স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পেলাম। সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পেরে আমি গর্বিত।'

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জানিয়েছেন, 'পর্তুগালকে যতটা সম্ভব উঁচুতে তুলে নিয়ে যাওয়াই আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। দলের যখনই প্রয়োজন হবে আমি নিজের ভূমিকা পালন করব। রেকর্ড গড়তে ও ভাঙতে সবসময় ভালো লাগে। রেকর্ড সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি আরও অনেকদিন পর্তুগালের হয়ে খেলতে চাই। কোচ আমাকে খেলার সুযোগ দেন কি না দেখি।'

১৯৯৪ সালে ও ১৯৯৯ সালে লিশটেনস্টাইনকে ৮-০ উড়িয়ে দেয় পর্তুগাল। ২০০৩ সালে কুয়েতকে ৮-০ উড়িয়ে দেয় পর্তুগাল। এটাই ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

ইউরোপের ক্লাব ফুটবল ছেড়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। চলতি মাসে তিনি ক্লাবের হয়ে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেন।

লিশটেনস্টাইনের বিরুদ্ধে পর্তুগালের হয়ে হোয়াও ক্যান্সেলো যে গোল করেন, সেটি এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়, বলে শেষ ছোঁয়া ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। কিন্তু রেফারি জানিয়ে দেন, গোল করেছেন ক্যান্সেলো। ফলে রোনাল্ডোর হ্যাটট্রিক করা হল না।

৩৮ বছর বয়সেও বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। জাতীয় দলের হয়ে ফের নিজেকে প্রমাণ করলেন এই তারকা। তাঁর উপর আস্থা রাখছেন পর্তুগালের নতুন কোচ।