আইএসএল-এ যে রোগ ছিল, সুপার কাপে এসেও ইস্টবেঙ্গলের সেই রোগ দূর করতে পারলেন না ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। তাঁর দলের খুব একটা উন্নতি চোখে পড়ল না।
যে সুযোগ পেয়েছিলেন, তাতে হ্যাটট্রিক করে নায়ক হতে পারতেন। কিন্তু কোনও সুযোগই কাজে লাগাতে পারলেন না। ফলে দিনের শেষে লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার জেক জার্ভিস। তাঁর জন্যই সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে ওড়িশা এফসি-কে বাগে পেয়েও হারাতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ৩৮ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে লাল-হলুদকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মোবাশির রহমান। ৭৩ মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেন নন্দকুমার শেখর। এরপর কোনও দলই আর গোল করতে পারেননি। ৮৬ মিনিটে জার্ভিসের শট ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিংয়ের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। এর আগেও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের শেষদিকেও একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন জার্ভিস। শেষমুহূর্তে বলে পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেতেন। কিন্তু সেটাও করতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। ফলে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদ শিবিরকে। গ্রুপ বি-র প্রথম ম্যাচে আইজল এফসি-কে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে হায়দরাবাদ এফসি। গ্রুপ থেকে একটি দলই নক-আউটে যাবে। ফলে ড্র করে সমস্যায় পড়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
আইএসএল-এ যে দলকে খেলিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন, সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে সেই দলে একাধিক বদল হয়। আইএসএল-এ খেলার সুযোগ না পেলেও, এদিন প্রথম একাদশে ছিলেন ডিফেন্ডার অতুল উন্নিকৃষ্ণণ। তিনি ভালো পারফরম্যান্স দেখান। প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান মোবাশির। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন লাল-হলুদের গোলকিপার কমলজিৎ সিং। ক্লেইটন সিলভা, নাওরেম মহেশ সিং যথারীতি ভালো পারফরাম্যান্স দেখান। সার্থক গলুই, জেরিও ভালো খেলেন। কিন্তু রক্ষণের ভুলে গোল হজম করা এবং একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করার জন্যই পয়েন্ট নষ্ট করতে হয় লাল-হলুদকে।
আইএসএল-এ ২০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ৬ ম্যাচে জয়, ১৩ ম্যাচে হার, ১ ম্যাচ ড্র, এই ছিল লাল-হলুদের পারফরম্যান্সের খতিয়ান। সেখানে ৬ নম্বরে থেকে প্লে-অফ খেলে ওড়িশা। ২০ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট ছিল ওড়িশার। ৯ ম্যাচে জয় পান দিয়েগো মরিসিওরা। কিন্তু রবিবার সুপার কাপের ম্যাচ দেখে বোঝা গেল না ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে আইএসএল-এ এগিয়েছিল ওড়িশা। শুরু থেকেই লাল-হলুদের দাপট ছিল। এত সুযোগ নষ্ট না হলে ওড়িশা পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত না।
আরও পড়ুন-
ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে টপকে গেলেন লিওনেল মেসি
ব্রাজিল, ফ্রান্সকে টপকে ৬ বছর পর ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আর্জেন্টিনা
আল-হিলালের লোভনীয় প্রস্তাবে রাজি লিওনেল মেসি! যোগ দিতে পারেন সৌদি আরবের ক্লাবে