ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধিদের নিয়ে স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে আছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার লা লিগা প্রেসিডেন্ট হেভিয়ার তেবাজের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামি কর্ণধার আদিত্য আগরওয়াল, মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ও মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সচিব ইশতিয়াক আহমেদ। এই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন, ‘আজ আমি স্পেনের লা লিগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিষয়ে বৈঠক করলাম। পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন পর্ষদ ও ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের যৌথ উদ্যোগে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়। লা লিগা প্রেসিডেন্ট হেভিয়ার তেবাজ ও আমি পশ্চিমবঙ্গে ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করলাম। এই আলোচনা খুব ভালো হয়েছে। এই বৈঠকে ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিংয়ের প্রতিনিধিরাও ছিলেন। বাংলার ফুটবলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেই মনে হচ্ছে।’
লা লিগা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার ফুটবলের উন্নতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি গ্রামবাংলা থেকে ফুটবলার তুলে আনা এবং তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে লা লিগার সাহায্য চেয়েছেন। লা লিগা প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি বাংলার ফুটবলপ্রেমের কথা জানেন। তাঁরা বাংলার ফুটবলের উন্নতিতে সাহায্য করবেন। ফুটবলের উন্নতির জন্য উদ্যোগ নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন লা লিগা প্রেসিডেন্ট। তিনি আশাবাদী, বাংলার ফুটবলের উন্নতিতে সদর্থক ভূমিকা পালন করতে পারবে লা লিগা। সৌরভ ও ৩ প্রধানের প্রতিনিধিরাও আশাবাদী, বাংলার ফুটবলের উন্নতি হবে।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘একটি দারুণ ঘটনা ঘটতে চলেছে। বস্ত্রশিল্পে অন্যতম বৃহৎ সংস্থা টেম্পে গ্রুপো ইন্ডিটেক্স (জারা) তাদের কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করছে। পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদনের জন্য এই সংস্থাটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করছে। ২০২৩-এর বড়দিনের আগেই উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। ২০১৯ সালে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ডাউনস্ট্রিম পলিমার অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি আলোচনাসভা হয়। আমাদের দূরদর্শিতার ফলেই এই সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। এই বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য আমরা গ্র্যান্ট টেম্পের সঙ্গে আলোচনা করছি। এই সংস্থার সঙ্গে যারা কাজ করবে, তাদের সঙ্গেও আমরা আলোচনা করছি। তাদের আমরা স্বল্পমূল্যে ১০০ একর জমি দিচ্ছি। এমন জায়গায় জমি দেওয়া হচ্ছে যাতে কাজের সুবিধা হয়। কারখানা তৈরির ক্ষেত্রে সবরকমভাবে সাহায্য করবে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতি হবে। রাজ্যের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।’
আরও পড়ুন-
Kolkata Derby: শেষমুহূর্তে গোল হজম, মহামেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে ড্র মোহনবাগানের
Indian Football: আইএসএল না এশিয়ান গেমস, ভারতীয় ফুটবলে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ?
Mohun Bagan Supar Gaint : ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বদলা, সবুজ-মেরুন শিবিরে উচ্ছ্বাস