নিজেদের থেকে ফিফা ক্রমতালিকায় পিছিয়ে থাকা দুই দলের কাছে পর পর দু ম্যাচে ৯ গোল খেয়েছিলেন সুনীল ছাত্রীরা। কিন্তু ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী সিরিয়াকে রুখে দিল ইগর স্টিমাচের ছেলেরা। যার ফলে ফাইনালে যেতে পারলে না সিরিয়াও।
আরও পড়ুন- আইএসএল- আই লিগ দ্বন্দ্বে কৈলাসের দ্বারস্থ দুই প্রধান, ময়দানেও গেরুয়া রাজনীতি, দেখুন ভিডিও
মঙ্গলবার আহমেদাবাদে ৭৮ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন সুনীলরাই। ম্যাচের ৫২ মিনিটে তরুণ ডিফেন্ডার নরেন্দ্র গেহলটের করা দুরন্ত হেডে এগিয়ে যায় ভারত। এটাই ভারতের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল নরেন্দ্রর। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করে সিরিয়া। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ভারতের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় খাতায়কলমে টুর্নামেন্টের সবথেকে শক্তিশালী দলকে।
আরও পড়ুন- পিছনে পড়লেন লিওনেল মেসি, আগে ভারত অধিনায়ক
প্রথম দুই ম্যাচে বিশ্রী হারের পরে কোচ স্টিমাচের রণকৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সমর্থকরা। সিরিয়াকে রুখে দেওয়ার পরে স্বভাবতই খুশি ক্রোয়েশিয়ান কোচ। ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দল নিয়ে বেশ কিছু পরীক্ষ নিরীক্ষা করেছেন স্টিমাচ। তাতে যে তিনি খুব সফল হয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তা বলা যাবে না। এটাও ঠিক, জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বেশি সময়ও পাননি তিনি। তাঁর অধীনে ভারত খেলেছে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ। নতুন মুখদেরই আরও বেশি করে সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ক্রোয়েশিয়ার জাতীয় দলের প্রাক্তন এই ফুটবলার।
কিন্তু স্টিমচের সবথেকে বড় পরীক্ষা হবে বিশ্বকাপ যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে। আপাতত ক্লাব দলের হয়ে খেলতে চলে যাবেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। স্টিমাচ অবশ্য বসে থাকতে নারাজ। তিনি জানিয়েছেন, সবকটি ক্লাবের কোচদেরকেই জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কার ফিটনেস কেমন, বা কী অবস্থায় রয়েছে, সে সম্পর্কটি বিস্তারিত রিপোর্ট তিনি পাঠিয়ে দেবেন। যাতে ক্লাব কোচদেরও খেলোয়াড়দের অবস্থা বুঝতে সুবিধে হয়। স্টিমাচ চান, জাতীয় দলের সব খেলোয়াড়ই বেশি করে ক্লাব দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান এবং তাঁদের প্রি কন্ডিশনিংও যাতে ভাল করে হয়।
সিরিয়া ম্যাচে ড্রয়ের কৃতিত্ব পুরো দলকেই দিয়েছেন স্টিমাচ। তরুণ ফুটবলার নরেন্দ্র গেহলটকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত তিনি। স্টিমাচ বলেছেন, নবীন প্রজন্মের ভারতীয় ফুটবলারদের উপরে যে ভরসা করা যায়, নরেন্দ্র তা প্রমাণ করেছেন। ইতিবাচক সমালোচনা হজম করতেও যে তাঁর কোনও সমস্যা নেই, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্টিমাচ।
একই সঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে যে দলের সঙ্গেই ভারতের খেলা পড়ুক না কেন, সব প্রতিপক্ষকেই সম্মান করতে হবে। ক্রমতালিকা দেখে যে শক্তির বিচার করা যায় না, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন স্টিমাচ। কারণ এই টুর্নামেন্টে চার দলের মধ্যে যে দু'টি দল খাতায়কলমে কম শক্তিধর, তারাই ফাইনালে পৌঁছেছে।