গত বছর করোনা ভাইরাসের কারণে ইতিহাসে প্রথমবার স্থগিত হয়ে গিয়েছিল অলিম্পিক গেমস। এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয় গেমের সূচি। ২৩ জুলাই থেকে বহু প্রতীক্ষার পর শুরু হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিকস। চলবে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত। মাঝে মনে করা হয়েছিল ফুল স্টেডিয়াম না হলেও, নিয়ম মেনে দর্শক উপভোগ করতে পারবে বিশ্বের সবথেকে বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট। কিন্তু সেই আশা হয়তো এবার আর পূরণ হচ্ছে না। কারণ সেই বিশ্ব অতিমারী কোভিড ১৯।
স্টেডিয়ামে বসে অলিম্পিক দেখার সব আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল। বিশ্ব জুড়ে করোনা গ্রাফ ফের উর্ধ্বমুখী। জাপানের অবস্থাও একই। এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় জাপান সরকার। সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে জাপান সরকার। এই পরিস্থিতির মধ্যে আগামি ২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে অলিম্পিক।এত দ্রুত অবস্থার কোনও উন্নতি সম্ভব নয়। ফলে দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামেই টোকিও অলিম্পিক হতে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিৎ।
করোনার কারণে এমনতিই কঠোর সুরক্ষা বিধির মধ্য়ে আয়োজিত হতে চলেছে অলিম্পিক। জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেই অংশ নিতে হবে অ্যাথলিটদের। বিদেশি দর্শকদের আসার উপরে অনেক আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জাপান সরকার ও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ। তবে জাপানে ৫০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের বাবনা ছিল। কিন্তু মারণ ভাইরাসের ফের বাড়বাড়ন্ত হওয়ায় সুরক্ষা নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না আয়োজক ও আইওসি। ফলে করোনার কাঁটার মধ্যেই হবে অলিম্পিক।