এক পাঞ্চে প্রতিপক্ষকে নক আউট করার ক্ষমতা রাখতেন তিনি। তাঁর এক পাঞ্চে নকআউটের সাক্ষীও থেকেছে দুনিয়া। তাঁর সামনে বক্সিং রিংয়ে দাঁড়ানোর আগে দশবার ভাবতেন প্রতিপক্ষ বক্সাররা। কারণ মাইক টাইসন নামটাই প্রতিপক্ষের মনে মৃত্যুভয় সঞ্চার করার জন্য যথেষ্ট ছিল। চোখ ধাঁধানো কেরিয়ারে বিতর্ক থেকে কখনও দূরে সরে থাকতে পারেননি মাইক টাইসন। ২০০৫ সালে বক্সিং রিংকে বিদায় জানিয়েছিলেন অন্যতম বিশ্বের সর্বকালের সেরা বক্সার। বিশ্ব জুড়ে তাঁর ভক্তরা অপেক্ষা করছিলেন কবে ফের রিংয়ে ফিরবেন তিনি। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। বক্সিং কিং ফের ফিরছেন রিংয়ে।
আরও পড়ুনঃবিসিসিআইয়ের সাথে ভারত-পাক সিরিজ নিয়ে আর আলোচনায় বসবে না পিসিবি
৫৪ বছর বয়সী টাইসনের রিংয়ে ফেরার খবরে নড়েচড়ে বসেছে বক্সিং বিশ্ব। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ডিগনিটি হেলথ স্পোর্টস পার্কে রয় জোন্স জুনিয়রের সঙ্গে ৮ রাউন্ডের একটি প্রদর্শনী লড়াইয়ে নামবেন টাইসন। ৫১ বছর বয়সী জোন্সের বিরুদ্ধে এই বাউটটি ট্রিলার নামক মার্কিন মিউজিক অ্যাপে সরাসরি দেখা যাবে। যদিও বিনা পয়সায় নয়। তার জন্য মাশুল গুনতে হবে অ্যাপ ব্যাবহারকারীদের। টাইসনের কামব্যাক লড়াইকে হাতিয়ার করে সংস্থাটি বাজার ধরতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটাও ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, এই একটি লড়াইয়েই বিপুল আর্থিক মুনাফা লুঠতে পারে অ্যাপটি। রিংয়ে ফেরার খবর নিজেই জানিয়েছেন মাইক টাইসন। সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মাইক চাইসন লিখেছেন,'আমি ফিরছি'। একইসঙ্গে একইসঙ্গে একটি ট্রেলারও শেয়ার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আমিরশাহিতে শুরু হচ্ছে আইপিএল, খবর বোর্ড সূত্রে
আরও পড়ুনঃচিনে নিন বিশ্বের সব থেকে সেক্সিয়েস্ট ফুটবল রেফারিদের, যাদের রূপ ঝড় তোলে হৃদয়ে
সব চেয়ে কম বয়সি বক্সার হিসেবে ১৯৮৬-তে হেভিওয়েট শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। ২০০৫-এ অবসর নেওয়ার সময়ে তাঁর নামের পাশে ছিল ৫০টি জয়, ৬টি হার এবং ৪৪টি নকআউট করার বিরল কৃতিত্ব। বিশ্বের একমাত্র হেভিওয়েট বক্সার হিসেবে ডব্লুবিএ, ডব্লুবিসি এবং আইবিএফ খেতাব জিতেছেন টাইসন। এবার ৫৪ বছরে বুড়ো হাড়েও কি ভেলকি দেখাতে সফল হবেন তিনি? স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নতুন করে রিংয়ে দেখা নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব জুড়ে।