টোকিও অলিম্পিকে বন্ধুত্ব ও স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের নজির দেখল গোটা বিশ্ব। সোনা জয় স্বপ্ন সকল অ্যাথলিটের। সেখানে সেই সোনা ভাগ করে নিলেন দুই অ্যাথলিট।
অসুস্থতা নিয়েও অলিম্পিক্সে মহিলা ব্যাডমিন্টনের ব্যক্তিগত বিভাগের ফাইনালে অংশ নিয়েছিলেন তাই জু। ফাইনালে হারের পর তাকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দিয়েছিলেন পিভি সিন্ধু। সিন্ধুপ স্পোর্টসম্যান স্পিরিট ও সহৃদয় মানসীকতার প্রশংসা হয়েছিল সর্বত্র। এবার টোকিও সামার গেমসের মঞ্চে সোনার পদক ভাগ করে নিয়ে আরও এক স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের নজির গড়লেন কাতারের মুউতাজ বারশিম। পুরুষদের হাইজাম্পের ফাইনালে সোনার পদক ভাগ করে নিলেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ইটালির জিয়ানমার্কো তামবেরির সঙ্গে।
প্রসঙ্গত,অলিম্পিক্সের আগে গোড়ালি গুরুতর চোট পেয়েছিলেন ইতালির তামবেরি।। চোট এতটাই ভয়ানক ছিল যে কেরিয়ার পর্যন্ত শেষ হয়ে যেতে পারত। টোকিও অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। খেলা ছাড়ার কথাও ভেবেছিলেন তামবেরি। কিন্তু প্রতিপক্ষ হলেও তামবেরির প্রিয় বন্ধু কাতারের বারশিম সেটা চাননি। তামবেরিকে বুঝিয়ে মনের জোর বাড়িয়ে ফের একবার ময়াদেন নামান। ব্যাথা পা নিয়ে লাফ দিয়ে কোনও ভাবে প্যারিসে ডায়মণ্ড লিগে যোগ্যতা অর্জন করে তামবেরি। দুঃসময়ে বারশিম যেভাবে তামবেরির পাশে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই অতুলনীয়।
আরও পড়ুনঃতিনটির মধ্যে দুটিই ফাউল থ্রো, শটপাটে ছিটকে গেলেন তাজিন্দর পাল সিং টুর
আরও পড়ুনঃস্বাধীনতা দিবসে বিশেষ উদ্যোগ, ভারতীয় অলিম্পিক দলকে লালকেল্লায় সংবর্ধনা দেবেন মোদী
আরও পড়ুনঃ৩৭-এ পা সুনীল ছেত্রীর, ফুটবল অধিনায়ক ও প্রিয় বন্ধুকে শুভেচ্ছা ক্যাপ্টেন কোহলির
এর বন্ধুত্বের মান রেখে টোকিও গেমসে বারশিমের সঙ্গে ফাইনালে ওঠেন তার প্রিয় বন্ধু তামবেরিও। আর ফাইনালে দুই অ্যাথলিটই ২.৩৭ মিটারের লং জাম্প দেন। ফলে সোনা-রূপো কে পাবে তা নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল টাই ব্রেকারের মঞ্চ। তখন বারশিম আধিকারিকদের কাছে জানতে চান তারা কি দুটো সোনা পেতে পারে? আধিকারিকরা আলোচনার পর রাজিও হয়ে যায়। এই ইভেন্ট কেউ রূপো পায়নি। ফলে বারশিমের বন্ধুত্ব দেখে আবেগে আত্মহারা হয়ে যান তামবেরি। আর বন্ধুত্ব ও স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের নজির গড়ে বারশিম নিজের ও তামবেরি দুজনেরই সোনা জয়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন।