তুরস্কে অনুষ্ঠিত ইভেন্টে আটটি দেশের ১৩ জন ওয়েটলিফ্টারের মধ্যে ১১ জন পদক জিতেছে। তাদের ডোপিং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সকলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে খেলার দুনিয়ায় সব থেকে বেশি খবরের শিরোনামে যা জায়গা করে নিয়েছে তা হল ডোপিং মামলা (Doping Case)। ২০২১ সালে এপ্রিল মাসে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বিতর্ক সৃষ্টি করা ঘটনাগুলি এবং আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ITA (International Testing Agency) আবার পরীক্ষা করা পুরানো নমুনাগুলি খতিয়ে দেখে। তুরস্কে অনুষ্ঠিত সেই ইভেন্টে আটটি দেশের ১৩ জন ওয়েটলিফ্টারের মধ্যে ১১ জন পদক জিতেছে।তবে উল্লিখিত এই ওয়েটলিফ্টারদের (weightlifter) মধ্যে আটজন ইতিমধ্যেই ডোপিং নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে জড়িয়েছেন। রীতিমত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের। তবে তাঁদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে অবসর প্রাপ্ত। তবে এই নিয়ম ভাঙার জেরে রীতিমত জেরার সন্মুখীন এথলেকিক্সরা। এরই মধ্যে খবরে উঠে আসছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য. এই অভিযুক্তদের মধ্যেই নাকি রয়েছেন মধ্যে রয়েছে স্লিভেনকো, যিনি ২০০৮ সালের অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী ছিলেন এবং ২০১২ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন। তবে আঘাত থাকার কারণে লন্ডন অলিম্পিকের কিছুক্ষণ আগে, ঠিক শেষ মুহূর্তে নিজের নাম সরিয়ে নিেছিলেন এই এথলেকিট। স্লিভেনকো ইতিমধ্যেই ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ডোপিং নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আন্তর্জাতিক ওয়েটলিফ্টার ফেডারেশন, মার্চ মাসে জানিয়েছিল, যে তাকে মস্কোর ড্রাগ পরীক্ষা ল্যাবরেটরি থেকে আরও একটি ভিন্ন ডোপিং সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷আরও পড়ুন- Novy Kapadia-স্তব্ধ ভারতীয় ফুটবলের কন্ঠস্বর, প্রবীণ ধারাভাষ্যকার নোভি কাপাডিয়ার প্রয়াণআরও পড়ুন- Cricket Update- ফের নতুন পালক সৌরভের মুকুটে, ঘরের মাঠে ‘ইডেন বেল’ বাজাতে চলেছেন মহারাজ২০১২ সালের ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ডোপ করার জন্য জায়গা পাওয়া যে কোন ওয়েটলিফ্টারকে সেই বছরের অলিম্পিক থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার সম্ভবনার কথা বর্তমানে উঠে আসছে। তবে এই অভিযোগ কোনওভাবেই প্রাপ্ত পদক ও সম্মানে প্রভাব ফেলবে না। আইটিএ দ্বারা অভিযুক্ত ১৩ জন ওয়েটলিফ্টারের মধ্যে নাম রয়েছে, লন্ডনের অলিম্পিক পদকপ্রাপ্ত মাত্র দুজনের, তারা হলেন মোলদোভার ক্রিস্টিনা ইভু এবং রাজভান মার্টিন। ডোপিং অপরাধের জন্য ইতিমধ্যেই এই তাদের থেকে পদকগুলি নিয়ে নেওয়া হয়েছে৷আইটিএ ওয়েটলিফ্টার স্টেরয়েড ব্যবহারের ঘটনা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবছর ধরে। গত বছর তদন্তে দেখা গেছে যে প্রাক্তন আইডব্লিউএফ সভাপতি তামাস আজান এমন একটি সিস্টেমের করে রেখেছিলেন, যেখানে ডোপিং কেসগুলি জেনে শুনে চাপা দেওয়া হচ্ছিল। তবে বর্তমানে সেই সকল কেসকে পুনরায় সাজানোর চেষ্টায় মরিয়া আইটিও। একে একে নয়া তথ্য প্রতিমুহূর্তে বেরিয়ে আসছে এই ডোপিং মামলায়।