২৪টি গোল্ড মেডেল জয়ী প্লেয়ার বর্তমানে দিনমজুর,সাহায্যের হাত বাড়ালেন ক্রীড়ামন্ত্রী

  • হরিয়ানার প্রতিভা সম্পন্ন উশু প্লেয়ার শিক্ষা
  • রাজ্য স্তরে শিক্ষা জিতেছেন ২৪টি স্বর্ণপদক
  • বর্তমানে অর্থাভাবে দিনমজুরের কাজ করছেন তিনি
  • খবর পেয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী
     

Sudip Paul | Published : Jul 30, 2020 9:38 AM IST

এর আগে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা তুলে ধরেছিল বিশেষভাবে সক্ষম ভারতীয় ক্রিকেট দলের দুই অধিনায়কের করুণ কাহিনী। একজন হরিয়ানার দীনেশ শেন। যিনি অভাবের তাড়নায় চাকরির জন্য বিভিন্ন অফিসের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অপর জন ভারতীয় হুইল চেয়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়ক উত্তরাখন্ডের বাসিন্দা রাজেন্দ্র সিং ধামি। যিনি অর্থাভাবে রাস্তার ধারে বসে পাথর ভাঙার কাজ করছেন। এবার আরও এক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের করুণ কাহিনী। এই ঘটনা হরিয়াণার শিক্ষার। রাজ্য স্তরে উশু চ্যাম্পিয়ন শিপে ২৪টি স্বর্ণ পদক পেয়েছেন শিক্ষা। কিন্তু পেটের টানে প্রতিভাবান এই প্লেয়ার দিনমজুরের কাজ করছেন।

আরও পড়ুনঃভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক,অর্থাভাবে আজ রাস্তার ধারে বসে পাথর ভাঙছেন

আরও পড়ুনঃদেশের অধিনায়ক ছিলেন, বর্তমানে অভাবের তাড়নায় একটি চাকরির জন্য ঘুরছেন দরজায় দরজায়

শিক্ষার এই করুণ পরিণতির জন্যও দায়ী করোনা ভাইরাস মহামারী। অন্যান্য খেলার মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও, খেলা চলাকালীন অবাবের সমসারে তাও ডাল-ভাত জুটে যাচ্ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সমস্ত ধরনের খেলা বন্ধ হতেই শিক্ষার ভাগ্যেও নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার।প্রথম সারির ক্রীড়বিদদের লকডাউনে বিশেষ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়নি। তবে নিম্ন-মধ্যবিত্ত সমাজ থেকে উঠে আসা অপ্রচলিত খেলাগুলির উঠতি তারকাদের প্রবল আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পেট চালানোর জন্য বাধ্য হয়ে মাঠে দিন মুরের কাজ করছেন শিক্ষা। কখনও মাল বইছেন, কখনও আবার চাষের জমিতে কাজ করছেন। দীর্ঘ দিন এইভাবে চলতে থাকলে খেলা ছাড়ার কথাও ভাবছিলেন শিক্ষা।

আরও পড়ুনঃ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার,তার বোলিংয়ে মুগ্ধ সচিনও, এখন লোকের বাড়ি বাড়ি এসি সারান রে প্রাইস

যদিও শিক্ষার ভাগ্যে হয়তো বেশি দিন অন্ধকার লেখা ছিল না। কারণ শিক্ষাৎ এই খবর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকে পৌছতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপে ২৪টি সোনার পদক জয়ী শিক্ষার জন্য এককালীন ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। ক্রীড়াবিদদের জন্য গঠিত পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জাতীয় জনকল্যাণ তহবিল থেকে এই টাকা শিক্ষার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে। শিক্ষার সমাধানের সমস্যা না হয় করলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী। কিন্তু করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চরম দুর্দিনের শিকার হচ্ছেন দীনেশ সেন, রাজেন্দ্র সিম ধামি, শিক্ষার মত বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিভাবান প্লেয়াররা। তাদের কথাও একটু ভেবে দেখার দাবি উঠেছে সমাজের বিভিন্ন স্তর। তা নাহলে অকালেই হারিয় যেতে পারে একাধিক প্রতিভা।
 

Share this article
click me!