
অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনের বাছাই পর্বের সময় মূত্রের নমুনা জমা না দেওয়ায় সাসপেন্ড হন বজরং পুনিয়া। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বজরং।
ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির রিপোর্টের ভিত্তিতে বজরং পুনিয়াকে সাসপেন্ড করেছে ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং। ফলে কোনও প্রতিযোগিতাতেই যোগ দিতে পারছেন না এই কুস্তিগীর।
বজরং পুনিয়ার অভিযোগ, ‘ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি আমাকে টার্গেট করছে। ওরা যে কোনওভাবে আমাকে কুস্তি থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে।’.
বজরং পুনিয়ার দাবি, ‘পরপর ২ মাসে আমাকে সাসপেন্ড করল ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি। একই ঘটনায় প্রথমবার সাসপেন্ড করার পর সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়। ফের আমাকে সাসপেন্ড করা হল।’
বজরং পুনিয়ার দাবি, ‘ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির কাছে কোনও জবাব নেই। ওরা ভুলের দায় নিতে নারাজ। ওরা শুধু অ্যাথলিটদের হেনস্থা করতে চায়।’
সাসপেন্ড হওয়ার কয়েক মাস পর ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনজীবী বিদূষপত সিংহানির মাধ্যমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বজরং পুনিয়া।
বজরং পুনিয়ার দাবি, ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির পক্ষ থেকে যে টেস্টিং কিটের মাধ্যমে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেই কিট মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিল।
টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়ার দাবি, দুই রাউন্ডে তাঁর লড়াইয়ের মাঝেই মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ফলেই হয়তো ভুল রিপোর্ট এসেছে।
বজরং পুনিয়ার দাবি, ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তা সত্ত্বেও নিয়মবিরুদ্ধভাবে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আলবানিয়ায় চলবে বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার লক্ষ্যে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতে বজরং পুনিয়া।
বজরং পুনিয়ার দাবি, ১১ জুলাইয়ের পর থেকে তাঁর ব্যাখ্যার জবাব দিচ্ছে না ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি।
বজরং পুনিয়া চাইছেন, ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করে তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিক। তাহলে তিনি বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দিতে পারবেন।