দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে এবার নিয়মের মধ্যে বাঁধতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জন্য আসতে চলেছে এক বিশেষ আইন।
দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে এবার নিয়মের মধ্যে বাঁধতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জন্য আসতে চলেছে এক বিশেষ আইন। দল নির্বাচন বা অন্য কোনও ক্রীড়া সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তির জন্য থাকবে নির্দিষ্ট একটি আদালত। ক্রীড়া সংস্থাগুলি বা খেলোয়াড়রা সরাসরি সাধারণ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন না।
কেন্দ্রীয় সরকার লোকসভায় নতুন একটি ক্রীড়া বিল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বিল পাশ হওয়ার পর, আইনে পরিণত হলে সরাসরি হাইকোর্ট বা অন্য কোনও আদালতে যাওয়া যাবে না। বিবাদের নিষ্পত্তির জন্য যেতে হবে প্রস্তাবিত অ্যাপিলেট স্পোর্টস ট্রাইবুনালে। যা তৈরি করা হবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের আদলে।
ক্রীড়া সংক্রান্ত মামলার চাপে সাধারণ আদালতে যাতে অন্য মামলাগুলির অগ্রগতি ব্যাহত না হয়, সেই কারণেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। যেমন অক্টোবর মাসেই ৬টি ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা দিল্লী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনিক নানা বিবাদ এবং বেনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে।
এদিকে এই প্রস্তাবিত বিল আইনে পরিণত হলে, ২৫ বছরের বেশি বয়সী যে কোনও ভারতীয় নাগরিক যে কোনও ক্রীড়া সংস্থার সর্বোচ্চ পদের জন্য নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁর জন্য একজন সমর্থনকারী থাকতে হবে। শীর্ষ পদাধিকারী ব্যক্তিকেও সেই নিয়ম মেনে সংস্থার কর্মীদের মতোই কাজ করতে হবে।
শুধু তাই নয়, সংস্থার কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য হতে হবে তাঁকে। প্রস্তাবিত বিলের ২৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, সমস্ত আদালতে ক্রীড়া সংক্রান্ত যে মামলাগুলি বিচারাধীন রয়েছে, সেগুলিকে নির্দিষ্ট একটি দিনে কেন্দ্রীয় ট্রাইবুনালে স্থানান্তর করা হবে।
মামলাগুলি যে পর্যায়ে রয়েছে, ট্রাইবুনাল চাইলে সেই পর্যায় থেকেই পরবর্তী শুনানি শুরু করতে পারবে। আবার প্রথম থেকেও শুনানি শুরু করার সুযোগ থাকবে। মামলার গতিপ্রকৃতি দেখে বিষয়টি ঠিক করবেন ট্রাইবুনালের সদস্যরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।