টেনিস কোর্ট থেকে অনেক দূরে, সন্তানকে নিয়েই সময় কাটছে মারিয়া শারাপোভার

কয়েক বছর আগেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম বা ডব্লুটিএ প্রতিযোগিতা চলাকালীন তাঁকে দেখার জন্যই ভিড় জমাতেন টেনিসপ্রেমীরা। কিন্তু এখন আর কোর্টে দেখা যায় না মারিয়া শারাপোভাকে। তিনি খেলা থেকে অনেক দূরে। 

গত বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় মারিয়া শারাপোভা ঘোষণা করেন, তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তারপর থেকে সন্তানকে নিয়েই সময় কাটছে এই প্রাক্তন টেনিস তারকার।

২০০৫ সালের ২২ আগস্ট ১৮ বছর বয়সে প্রথমবার বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হন মারিয়া শারাপোভা। তিনি ২১ সপ্তাহ শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরেছিলেন।

মারিয়া শারাপোভার আগে রাশিয়ার কোনও মহিলা টেনিস খেলোয়াড় বিশ্বের এক নম্বর হতে পারেননি। শারাপোভা ২০১২ সালের ১১ জুন শেষবার বিশ্বের এক নম্বর হন। তিনি সে বছরেরই ৮ জুলাই পর্যন্ত শীর্ষস্থানে ছিলেন।

২০১৬ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চলাকালীন ডোপ টেস্টে ধরা পড়েন মারিয়া শারাপোভা। মেলডোনিয়াম নামে একটি নিষিদ্ধ বস্তু সেবন করার দায়ে তাঁকে নির্বাসিত করা হয়। পরে অবশ্য নির্বাসন কাটিয়ে কোর্টে ফেরেন মাশা।

খেলোয়াড় জীবনে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন মারিয়া শারাপোভা। তিনি সাফল্যও পেয়েছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, আরও সাফল্য পেতে পারতেন এই তারকা। প্রতিভা অনুযায়ী তিনি ততটা সাফল্য পাননি।

মোট ৫ বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন মারিয়া শারাপোভা। ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন ২ বার। উম্বলডন, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ইউ এস ওপেনও জিতেছেন। ২০১২ সালের অলিম্পিক্সে রুপো জেতেন তিনি।

গত বছর ছেলে থিওডোরের জন্ম হয়েছে। সেই কারণে ২০২২ মারিয়া শারাপোভার কাছে স্মরণীয় বছর। তিনি চাইছেন ২০২৩ আরও ভালো কাটুক। সবার কাছে শুভেচ্ছা প্রার্থনা করেছেন এই প্রাক্তন টেনিস তারকা।

মারিয়া শারাপোভা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি টেনিস থেকে অবসর নেওয়ার পর ব্যবসা করছেন। মা হওয়া তাঁর স্বপ্ন ছিল। সন্তানের জন্ম দিতে পেরে তিনি খুশি। ব্যবসা ও ছেলেকে নিয়েই সময় কাটছে তাঁর।

২০২০ সালে পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে তারপরেও মারিয়া শারাপোভার জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচণ্ড জনপ্রিয়।