
Pro Powerlifting: ১৫ বছর ধরে চাকরি করছেন। এক নামী সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অফিসে কাজের বোঝা যেমন সহজেই কাঁধে তুলে নিয়েছেন, তেমনই পাওয়ারলিফটিংও চালিয়ে যাচ্ছেন কলকাতার যুবতী অদিতি নন্দী (Aditi Nandy)। এই যুবতীর বয়স ৪০ বছর। তিনি নিজেই বললেন, 'এই বয়সে মেয়েদের শরীর ও মনে নানা ধরনের বদল আসে। হরমোনের সমস্যা হয়। কিন্তু আমি সেসব সমস্যা কাটিয়ে উঠে পাওয়ারলিফটিং চালিয়ে যাচ্ছি। আমি যে ফিটনেস ধরে রাখতে পেরেছি, তাতে খুব ভালো লাগছে। আমি চার বছরেরও বেশি সময় ধরে পাওয়ারলিফটিং চালিয়ে যাচ্ছি। এবারই প্রথম মাস্টার ওয়ান কম্পিটিশনে নামছি। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছি। আশা করি দেশকে স্বর্ণপদক এনে দিতে পারব। তবে তার চেয়েও বেশি, একজন মেয়ে হিসেবে এই বয়সে প্রতিযোগিতামূলক খেলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ভালো লাগছে।'
আগামী বুধবার থাইল্যান্ডের (Thailand) পাটায়ায় (Pattaya) যাচ্ছেন অদিতি। কলকাতা থেকে অনেকেই পাটায়ায় বেড়াতে যান। তবে অদিতি বেড়াতে যাচ্ছেন না। তিনি ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যান্ড ফিটনেস ফেডারেশন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এ (UWSFF World Championship 2025) ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছেন। স্কোয়াটস (Squats), ডেডলিফট (Deadlift) ও বেঞ্চ প্রেস (Bench Press) ক্যাটিগরিতে লড়াই করবেন অদিতি। এর মধ্যে ডেডলিফট তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ইভেন্ট।
এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অদিতি জানিয়েছেন, 'কোভিডের (COVID-19) সময় আমার ওজন বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় বাড়িতেই শরীরচর্চা শুরু করি। নানা ধরনের যন্ত্র কিনে নিই। সেই সময় আমার ওজন ছিল ৬৫ কেজি। অনেক পরিশ্রম করে ওজন ৪৫ কেজিতে নামিয়ে আনি। ৪৫ কেজি ওজন নিয়ে আমি ৭০ কেজি ওজন তুলতে পারছিলাম। সেটা দেখে খুব ভালো লাগছিল। এভাবেই আমি পাওয়ারলিফটিংয়ের প্রেমে পড়ে যাই। তারপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার সুযোগ পাই। আমি যে সংস্থায় কাজ করি, সেই সংস্থা সবরকমভাবে সাহায্য করছে। রোজ অনুশীলন করতে পারি না। তবে সপ্তাহে তিনদিন ভালোভাবে অনুশীলন করি। কোচের সঙ্গে সেভাবেই কথা হয়েছে।' একজন বাঙালি মহিলা ও ক্রীড়াবিদ হিসেবে পাটায়ায় জাতীয় পতাকার সম্মান বাড়ানোই অদিতির লক্ষ্য।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।