Powerlifting: বাংলায় শরীরচর্চা, দেহসৌষ্ঠবের ঐতিহ্য বহু প্রাচীন। বর্তমানে সারা বাংলায় জিমের ছড়াছড়ি দেখা গেলেও, বাংলার প্রথাগত শরীরচর্চার ধারা বজায় রেখেছে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর নবাবগঞ্জ নবীন সংঘ ব্যায়াম শিক্ষা কেন্দ্র।

DID YOU
KNOW
?
পাওয়ারলিফটিংয়ে সাফল্য
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাচ্ছেন বাংলার ক্রীড়াবিদরা। এক্ষেত্রে বড়ৃ অবদান নবাবগঞ্জ নবীন সংঘ ব্যায়াম শিক্ষা কেন্দ্রের।

Powerlifting Competition: সময়টা স্বাধীনতার আগের। সেই সময় বাঙালি ছেলেরা শরীরচর্চার উপর খুব জোর দিত। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ছোলা, বাদাম, গুড় খেয়ে শরীরচর্চা করত ছেলেরা। উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর নবাবগঞ্জেও এই শরীরচর্চা দেখা যেত। স্থানীয় ছেলেদের শরীরচর্চার জন্য জায়গা দান করেন স্থানীয় এক মহিলা। ফলে সবারই সুবিধা হয়। ১৯৩৯ সালে স্থাপিত হয় নবীন সংঘ ব্যায়াম শিক্ষা কেন্দ্র। খাতায়-কলমে এই ক্লাবের বয়স ৮৬ বছর। কিন্তু এখানে শরীরচর্চা চলছে আরও আগে থাকতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এখানে শরীরচর্চা চলছে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী যে শরীরচর্চা, তা এখনও ধরে রেখেছে এই ক্লাব। জিমের মতো ব্যবস্থা করা হয়নি। পুরনো আমলের ধারাই বজায় রাখা হয়েছে। এই ক্লাবে শরীরচর্চা করে অনেক ছেলেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। একসময় বিমানবাহিনীর সদস্যরা এই ক্লাবে শরীরচর্চা করতে আসতেন। কারণ, এখানকার পরিকাঠামো উন্নত।

ঐতিহ্য মেনে শরীরচর্চা

ক্লাবের সম্পাদক রাজেশ কুমার শর্মা এবং অন্য সদস্যরা জানালেন, 'এই অঞ্চলে এমন কোনও পরিবার নেই, যার কোনও না কোনও সদস্য আমাদের ক্লাবে শরীরচর্চা করেননি। এখানে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও শরীরচর্চা চলে। একসময় মনোহর আইচ (Manohar Aich), মনোতোষ রায়ের (Monotosh Roy) মতো দিকপাল ব্যক্তিরা এখানে শরীরচর্চা করতেন। আমরাও ছোটবেলায় দেখেছি কুস্তি, যোগাসন, পাওয়ারলিফটিং হত। এখনও তা ধরে রেখেছি আমরা। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে মহাবীর (Mahavira) পুজো হয়। তারপর বডি বিল্ডিং, যোগাসন ও পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতা হয়। এখনও এই ক্লাবে শরীরচর্চা করতে হলে ১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। আগে চাঁদা ছিল ৫০ টাকা। সম্প্রতি ১০০ টাকা করা হয়েছে। সবার কথা ভেবেই বেশি টাকা নেওয়া হয় না।'

পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতা

রবিবার এই ক্লাবে হতে চলেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতা। ক্লাসিক বেঞ্চপ্রেস ও ডেডলিফট প্রতিযোগিতা হবে। এই ক্লাবের অনেক সদস্যই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছেন। ষাটোর্ধ্ব প্রদীপ মিত্র ও সুদীপ সূত্রধর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জিতেছেন। তাঁরা ফের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যাচ্ছেন। প্রণয় চক্রবর্তী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছেন। এই ক্লাবের সদস্য প্রসেনজিৎ সাবুই জাতীয় পাওয়ারলিফটিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছেন। সুনির্মল মজুমদার, লক্ষ্মণ রাজবংশীও জাতীয় প্রতিযোগিতায় পদক জিতেছেন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।