মারিয়া শারাপোভার পর রাশিয়ার খুব বেশি টেনিস খেলোয়াড় সাড়া জাগাতে পারেননি। তবে এবারের উইম্বলডনে মহিলাদের সিঙ্গলসে নজর কেড়ে নিচ্ছেন রাশিয়ার মিরা আন্দ্রিভা।
২০১৯ সালে উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গিয়েছিলেন কোকো গফ। এরপর সবচেয়ে কমবয়সি মহিলা খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন রাশিয়ার মিরা আন্দ্রিভা। এবারের উইম্বলডনে যাঁরা যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে মূলপর্বে উঠে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে ৩ জন তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যান। একমাত্র আন্দ্রিভাই চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন। তৃতীয় রাউন্ডে স্ট্রেট সেটে রাশিয়ারই অ্যানাসতাসিয়া পোতাপোভাকে হারিয়ে দিলেন আন্দ্রিভা। তাঁর পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-২, ৭-৫। ১৬ বছরের আন্দ্রিভা এ বছর থেকেই গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলা শুরু করেছেন। ফ্রেঞ্চ ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যান তিনি। এবার উইম্বলডনে আর এক ধাপ এগিয়ে গেলেন এই কিশোরী। গ্র্যান্ড স্ল্যামে এটাই এখনও পর্যন্ত তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। চতুর্থ রাউন্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ম্যাডিসন কিইজের মুখোমুখি হবেন আন্দ্রিভা।
তৃতীয় রাউন্ডে স্বদেশীয় খেলোয়াড় পোতাপোভার বিরুদ্ধে আন্দ্রিভার লড়াই খুব একটা সহজ হয়নি। প্রথম সেটে সহজ জয় পেলেও, দ্বিতীয় সেটে কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয় আন্দ্রিভাকে। পরপর ৪ গেম জেতেন পোতাপোভা। তিনি ২টি সেট পয়েন্টও পেয়ে যান। এই সেট জিততে পারলেই ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ঘটাতেন পোতাপোভা। কিন্তু সেই সময়ই ম্যাচে ফেরেন আন্দ্রিভা। তিনি স্বদেশীয় প্রতিপক্ষকে আর সুযোগ দেননি।
প্রথমবার উইম্বলডনে খেলার সুযোগ পেয়েই চতুর্থ রাউন্ডে পৌঁছে যাওয়ার পর আন্দ্রিভা বলেছেন, ‘আমার কোচ, বাবা-মা অনেক সাহায্য করছেন। আমি প্রচণ্ড পরিশ্রম করছি। আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি এখন বুঝতে পেরেছি, আমার পক্ষে কোর্টে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা কতটা সহজ বা ভালো। আমি সবসময় শান্ত থাকার চেষ্টা করছি। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ চলাকালীন আমি যদি আবেগ দেখানোর চেষ্টা করতাম, তাহলেও সেটা করতে পারতাম না। কারণ, বেশিরভাগ সময়ই আমি দম হারিয়ে ফেলছিলাম। সেই কারণে আমি আবেগ দেখাতে পারিনি। আমি এই ম্যাচ জিততে পেরে খুশি হয়েছি। অসাধারণ লড়াই হয়েছে। পোতাপোভা খুব ভালো খেলেছে। আমি দ্বিতীয় সেটে ১-৪ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরি। সেই কারণে খুব ভালো লাগছে। পোতাপোভা ও তার দলকে অভিনন্দন জানাই। ও এবারের উইম্বলডনে খুব ভালো পারফরম্যান্স দেখাল। আমি যা করতে পারি সে সবই করেছি। আমি তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ জেতার জন্য সর্বস্ব দিয়েছি। সেই কারণেই এই ম্যাচ জিততে পারলাম।’
আরও পড়ুন-
যুব তীরন্দাজি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-২১ বিভাগে সোনা ভারতের প্রিয়াংশের
কানাডা ওপেন সুপার ৫০০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে লক্ষ্য সেন, ছিটকে গেলেন সিন্ধু
PV Sindhu: র্যাকেটের বদলে হাতে স্টিয়ারিং, কে এফ ১ কার্টিং সার্কিটে পিভি সিন্ধু