এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। গত মাসেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছেন ইয়ানিক সিনার।
ডোপ কেলেঙ্কারিতে তিন মাস নির্বাসিত হয়েছেন সিনার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার ঠিক ২১ দিন পর, জোরালো ধাক্কা খেলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা।
গত বছর থেকেই সিনারের বিরুদ্ধে ডোপ কেলেঙ্কারির একটি মামলা চলছিল। উল্লেখ্য, সেই মামলায় বিশ্বের ডোপ বিরোধী সংস্থা ‘বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি’(ওয়াডা) আবেদন করেছিল বিশ্ব ক্রীড়া আদালতের কাছে।
এবার সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। বিশ্ব ক্রীড়া আদালতে শুনানির আগেই ওয়াডার সঙ্গে কথা বলেছেন সিনার এবং নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাই ওয়াডা তাঁকে তিন মাসের জন্য নির্বাসিত করেছে। অর্থাৎ, বিশ্ব ক্রীড়া আদালতে আর সিনারের মামলার কোনও শুনানি হবে না।
ওয়াডা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সিনারের শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে। আগামী ৪ মে পর্যন্ত নির্বাসিত থাকতে হবে তাঁকে।”
এদিকে ২৫ মে থেকে শুরু ফরাসি ওপেন। অর্থাৎ, বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামে আবার ফিরতে পারবেন সিনার। সেই কারণেই হয়ত নিজের দোষ স্বীকার করে শাস্তি মাথা পেতে নিলেন সিনার। কারণ, বিশ্ব ক্রীড়া আদালতে তাঁর দোষ প্রমাণিত হলে আরও কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারত। কিন্তু এক্ষেত্রে তা আপাতত হচ্ছে না। অন্যদিকে, ফরাসি ওপেন খেলতেও সমস্যা হবে না সিনারের।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চ মাসে ইন্ডিয়ান ওয়েলস প্রতিযোগিতায় খেলার সময় সিনারের শরীরে ক্লোস্টেবল নামে একটি পদার্থ পাওয়া গেছিল। টেনিস তারকার টেস্টস্টেরনে ওই পদার্থ ছিল সেই সময়। বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) ক্লোস্টেবল পদার্থটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই অভিযোগের পরেও আন্তর্জাতিক টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ) সিনারের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নেয়নি।
তারা জানিয়ে দেয়, ইতালির টেনিস তারকা ইচ্ছাকৃতভাবে ডোপিং করেননি। তাঁর ফিজিয়োথেরাপিস্ট না জেনে কোনও একটি ওষুধ দিয়েছিলেন, সেটার মধ্যে ঐ ক্লোস্টেবল ছিল। এই ঘটনার পরেই প্রশিক্ষক উমবের্তো ফেরারা এবং ফিজিয়োথেরাপিস্ট জিয়াকোমো নালদিকে সরিয়ে দেন সিনার।
এমনকি, আন্তর্জাতিক টেনিস ইন্টিগ্রিটি এজেন্সি সিনারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিশ্ব ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওয়াডা। এবার সেই মামলা ওঠার আগেই শাস্তি হয়ে গেল সিনারের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।