টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য কড়া নিয়ম বেঁধে দিল জাপান সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ আইওএ। নিয়ম অনুসারে, জাপানে পা রাখার পর তিনদিন অন্য দেশের বা অন্য দলের কারও সঙ্গে শারীরিকভাবে দেখা করতে পারবেন না ভারতীয় খেলোয়াড়রা।
এই নিয়ম প্রকাশ্যে আসার পরই টিওসিওজির (জাপানের আয়োজক সংস্থা) উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন আইওএ প্রেসিডেন্ট নরিন্দ্র বত্রা ও সেক্রেটারি জেনেরাল রাজীব মেহতা। সেখানে জাপান সরকারের বেঁধে দেওয়া এই নিয়মের কড়া বিরোধিতা করেছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, এই নিয়ম ভারতীয় খেলোয়াড়দের পক্ষে খুবই খারাপ ও বৈষম্যমূলক।
আরও পড়ুন- অলিম্পিকে করোনা থাবা, আক্রান্ত উগান্ডার খেলোয়াড়ের প্রবেশ নিষিদ্ধ হল জাপানে
চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট ইভেন্টের মাত্র পাঁচ দিন আগে ভারতীয় খেলোয়াড়দের গেমস ভিলেজে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পৌঁছানোর পর তিনদিন নষ্ট হবে। আর ওই সময়ই খোলায়াড়রা ইভেন্টের জন্য নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করে থাকেন। এটা ভারতীয় খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে খুবই খারাপ হবে।
আরও বলা হয়েছে, এই তিনদিন কোথায় এবং কখন খেলোয়াড়রা ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার করবেন। সবার জন্য গেমস ভিলেজের হলে খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। খাওয়ার সময় সেখানে সব দেশের খেলোয়াড় ও আধিকারিকরা উপস্থিত হন। আর যদি ভারতীয় খেলোয়াড়দের ঘরে খাবার পৌঁছেও দেন তাহলে কে তাঁদের শরীর ও প্রয়োজন অনুসারে সঠিক খাবার পৌঁছে দেবেন। ইভেন্টের আগে তাঁদের কতটা পরিমাণ খাবার প্রয়োজন সেটা কে পরিমাণ করবেন? যদি সেই সময় খেলোয়াড়রা সঠিকভাবে খাবার ও প্রোটিন না পান তাহলে তার প্রভাব পড়বে তাঁদের পারফরম্যান্সের উপর। এক্ষেত্রে তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙেও পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন- বিকিনিতে 'আগুন' বুমরার স্ত্রী,দেখুন সুপার হট অ্যান্ড সেক্সি ছবির অ্যালবাম
জাপানে যাওয়ার আগে সব খেলোয়াড়ের টিকাকরণ সম্পন্ন হবে। এমনকী, যাত্রার আগে টানা এক সপ্তাহে প্রতিদিন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেখানে এই ধরনের নিয়মের প্রয়োজনীয়তা কোথায় রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইওএ। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, "অলিম্পিকের অনুশীলন ক্ষেত্রগুলি কখনই ফাঁকা থাকে না। এক্ষেত্রে ভারতীয় খেলোয়াড়রা কোথায় এবং কখন অনুশীলন করবে। তবে আমরা কোনও দেশেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সেই দেশের নিয়মকে সম্মান করি। কিন্তু, জাপানে যাওয়ার আগে ভারতীয় খেলোয়াড়দের করোনা টিকার দুটি করে ডোজ দেওয়া হবে। এমনকী, যাত্রার সাতদিন আগে থেকে প্রতিদিনই তাঁদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। সেক্ষেত্রে জাপান সরকারের এই নিয়ম কি খুব প্রয়োজনীয়? ইভেন্টের পাঁচদিন আগে যখন খেলোয়াড়রা নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করেন তখন তাঁদের সঙ্গে এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ একেবারেই অনুচিত।"