
লখনউতে সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী আবাসের পরিবেশটা একটু অন্যরকম ছিল। সরকারি আবাসের খোলা চত্বরে দূর-দূরান্তের জেলা থেকে আসা মানুষরা আশার আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেউ অবৈধ দখল নিয়ে বিব্রত, কেউ বিদ্যুৎ বিলের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন, আবার কেউ আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সামনে আসতেই পরিবেশটা আশায় ভরে ওঠে। জনতা দর্শনে আসা প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে নিজে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাদের কথা শোনেন, আর এই দৃশ্যই ছিল পুরো অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার তাঁর সরকারি বাসভবনে জনতা দর্শন করেন, যেখানে রাজ্যজুড়ে ৫২ জনেরও বেশি অভিযোগকারী উপস্থিত হন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী প্রতিটি অভিযোগকারীর কাছে নিজে গিয়ে তাদের সমস্যা শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবিলম্বে সমাধানের নির্দেশ দেন। তিনি নির্দেশ দেন যে জেলাশাসক এবং সিনিয়র পুলিশ সুপার যেন জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ শোনেন এবং সময়মতো তার সমাধান নিশ্চিত করেন।
জনতা দর্শনের সময় আর্থিক সহায়তা, অবৈধ দখল, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পুলিশ এবং অন্যান্য বিভাগ সম্পর্কিত সমস্যা তুলে ধরা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে আধিকারিকদের উচিত জেলা পর্যায়ে এই অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে সমাধান করা। তিনি ডিএম এবং এসএসপি-কে বিশেষভাবে নির্দেশ দেন যে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শোনা হোক এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার সমাধান করা হোক।
গোরখপুর, শামলি, ঝাঁসি, কনৌজ সহ অনেক জেলা থেকে আসা মানুষরা তাদের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। সব ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন যে সাধারণ মানুষের সেবা ও সুরক্ষাই সরকারের প্রধান সংকল্প, এবং সরকার প্রত্যেক જરૂરतमंद মানুষের পাশে আছে। রাজ্যবাসীর প্রতিটি ন্যায্য সমস্যার ক্রমাগত সমাধান করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই কাজ করা হবে।
জনতা দর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী যোগী অভিভাবকদের সাথে আসা বাচ্চাদের সাথেও কথা বলেন। তিনি সব বাচ্চার নাম জিজ্ঞাসা করেন, তাদের চকলেট দেন এবং মন দিয়ে পড়াশোনা করার জন্য উৎসাহিত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বাচ্চাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আশীর্বাদও দেন এবং বলেন যে আজকের শিশুরাই আগামী দিনের শক্তিশালী উত্তরপ্রদেশ তৈরি করবে।