ক্যাসিনো খেলতে বিদেশে ছুটতে হবে না, পর্যটকদের জন্য দেশের এই রাজ্য বৈধ হচ্ছে জুয়া

মেঘালয় তীরোন্দাজিকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলা থেকে অনেক টাকাই উপার্যজন করে। খাসি হিলস আর্চারি স্পোর্ট অ্যাসোসিয়েশন শিলং-এই জুয়া খেলা পরিচালনা করে। প্রতিদিনই ১২টি তীরোন্দাদের ক্লাব এই খেলায় অংশ নেয়। 

Saborni Mitra | Published : Apr 24, 2022 4:36 PM IST

মেঘালয়- মেঘের দেশ, উত্তর পূর্বের ছোট্ট পাহাড় ঘেরা রাজ্য । মেঘায়ল মানেই মনোরম প্রাকৃতির দৃশ্য। মেঘের দেশে লুকোচুরি খেলা। যা পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। কিন্তু বর্তমানে পর্যটকদের আরও বেশি কিছু দেওয়ার উদ্যোগ নিতে চলেছে মেঘালয়। সূত্রের খবর শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্যই এই রাজ্য সরকার ক্যাসিনো, অনলাইন জুয়া আর গেমিং ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেছ। রাজ্যের আয়কর দফতরের মন্ত্রী জেমস পিকে সাংমা  বলেছেন রাজ্য সরকার গেমিং আইন নিয়ে এসছে, যার অনুসরণ করে গেমিং নিয়ম ২০২১ অপারেটরদের অনলাইন ও অফলাইন সংস্করণের দক্ষতা ও সুযোগের গেমগুলি পরিচালনা করার জন্য লাইসেন্স প্রদান করা হতে পারে। তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। 

মেঘালয়ের মন্ত্রী জানিয়েছেন, অনেক রাজ্যেই অর্থনীতির জন্য শুধুমাত্র জিএসটির ওপর নির্ভর করে। কিন্ত পর্যটন শিল্প থেকেই অনেক উপার্যন করা যায়। কর্মসংস্থানের পথও খুলে যায়। তিনি বলেছেন মেঘালয়ে আজ থেকে ৪০ বছর আগে তীরোন্দাজকে কেন্দ্র করে জুয়া বা বাজি ধরা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের পথ খুলে গেছে। তাই আগামী দিনে এজাতীয় জিনিসকেই আরও বড় আকারে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। 

মেঘালয় তীরোন্দাজিকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলা থেকে অনেক টাকাই উপার্যজন করে। খাসি হিলস আর্চারি স্পোর্ট অ্যাসোসিয়েশন শিলং-এই জুয়া খেলা পরিচালনা করে। প্রতিদিনই ১২টি তীরোন্দাদের ক্লাব এই খেলায় অংশ নেয়। ৫০ জন তীরোন্দান বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটি ৩০টি করে তীর ছোঁড়ে। বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিয়ে হয় দ্বিতীয় দফা। সেখানে প্রত্যেক খেলোয়ার ২০টি তীর ছোঁড়ার সুযোগ পায়। দুটি দফার পূর্বাভাস দেয় অনেক মানুষ। সেই কারণএ রাজ্যজুড়ে ১৫০০টি বৈঠক টিয়ার কাউন্টার তৈরি হয়েছে। যেখানে মানুষ বাজি ধরতে পারে। ট্যাক্সেশন বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছে শিলং-তীরের মাধ্যমে বছর ১-২ কোটি টাকা কর আদায় করা হয়। 

প্রশাসনিক সূত্রের খবর এই রাজ্যে যদি ক্যাসিনো বা অনলাইন গেমিং চালু করা হয়, তাহলে শুধুমাত্র পর্যটকদেরও অনুমতি দেওয়া হবে। রাজ্যের নাগরিকরা তাতে অংশ নিতে পারবে না। মেঘালয় উত্তর পূর্বের তৃতীয় রাজ্য হতে চলেছে যেখানে জুয়াতে বৈধতা দেওয়া হবে। এর আগে সিকিম ও নাগাল্যান্ডে নিয়ন্ত্রিত গেমিং ও বাজি ধরার ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

তবে রাজ্যের বিরোধী দল এর বিরোধীতা করবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে। 

Share this article
click me!