কোভিড মুক্ত হলেও যাচ্ছে না মৃত্যুভয়, প্রতিরোধের পথ বাতলালো ভারতীয়-মার্কিনিদের গবেষণা

করোনা মুক্ত হয়েও চিন্তুা যাচ্ছে না

পোস্ট-কোভিড সমস্যাতেও আচমকা হচ্ছে মৃত্যু

কিন্তু, কেন হচ্ছে এমনটা

উত্তর দিল একদল ভারতীয়-মার্কিনি বিজ্ঞানীদের গবেষণা

 

করোনা মুক্ত হয়েও চিন্তু মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না। অনেক সময়ই কোভিডজয়ী রোগীদের প্রাণঘাতী প্রদাহ, ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি এবং অঙ্গ ব্যর্থতার মতো কারণে প্রাণ-সংশয় তৈরি হচ্ছে। এই বিপদ কাটানোর একটি সম্ভাব্য কৌশল আবিষ্কার করলেন একদল ভারতীয়-মার্কিনি বিজ্ঞানী-গবেষক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি প্রদেশের মেমফিস-এ, সেন্ট জুড চিলড্রেনস রিসার্চ হাসপাতালের ইমিউনোলজির ভাইস চেয়ারম্যান তিরুমালা দেবী কান্নেগন্তী। তাঁর নেতৃত্বেই বেশ রাজ শর্মা, রাজেন্দ্র কার্কি এবং আরও কয়েকজন ভারতীয়-মার্কিনি বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি, কেন কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে গেলেও রোগীদের বিপদ কাটছে না, সেই বিষয়ে এক উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেছেন।

Latest Videos

'সেল' মেডিক্যাল জার্নালের এক গবেষণাপত্রে এই গবেষকরা বিশদে তাঁদের গবেষণার সন্ধান প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আবিষ্কার করেছেন, ভাইরাসটি সনাক্ত করার পরই হাইপার-ইনফ্ল্যাম্যাটরি ইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে মানব শরীরে 'ইনফ্লেমেটরি সেল ডেথ সিগন্যালিং পাথ' তৈরি হয়, যা টিস্যু বা কলার ক্ষতি এবং বহু-অঙ্গ ব্যর্থতার দিকে মানব শরীরকে পরিচালিত করে।

আরও পড়ুন - সামান্যই কমল ভারতের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ, তবে সুস্থতার হার বেড়ে এখন ৯৩.৬৮ শতাংশ

আরও পড়ুন - 'মুসলিমদের জন্য কিছুই করিনি', ৬ সাক্ষাতে কীভাবে আলিমুদ্দিনের জীবন বদলে দিয়েছিলেন মোদী

আরও পড়ুন - সামান্য কেরানি থেকে ফার্স্ট লেডির উপদেষ্টা, বাইডেন প্রশাসনে যুক্ত হলেন আরেক ভারতীয় মালা আদিগা

তেলঙ্গানায় জন্মেছিলেন তিরুমালা দেবী কান্নেগন্তী। ওয়ারাঙ্গলের কাকাতিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি. এবং পিএইচডি করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, কোভিড চিকিত্সার কার্যকর কৌশল তৈরির জন্য কীভাবে কোভিড মুক্ত হওয়ার পরও এই প্রদাহ তৈরি হচ্ছে এবং কীভাবে তা মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁদের গবেষণায় সেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে।

এই গবেষকরা জানিয়েছেন, শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত হওয়ার পরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে মানব কোষ থেকে সাইটোকাইন নামক এক ধরণের ক্ষুদ্র প্রোটিন কণার নিঃসরণ ঘটে। এই সাইটোকাইন যেমন একদিকে শরীরে মধ্যে ভাইরাসকে মারতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়, তেমনই কিছু কিছু সাইটোকাইন কোষের ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহও তৈরি করে।

কিন্তু কোন সাইটোকনগুলি প্রদাহ তৈরি করে? গবেষক দলটি তা সনাক্ত করতে কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেসকল সাইটোকাইনগুলি পাওয়া যায়, সেগুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছিল, কোনও সাইটোকাইন-ই এককভাবে কোষের মৃত্যুর কারণ নয়। এরপর বিভিন্ন সাইটোকাইনের ২৮ টি সংমিশ্রন নিয়ে চলে গবেষণা। আর তাতেই জানা যায়, দুটি সাইটোকাইন যৌথভাবে কোষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

এই সাইটোকাইনদুটি হল টিএনএফ-আলফা এবং আইএফএন-গামা। গবেষকরা জানিয়েছেন, টিএনএফ-আলফা এবং আইএফএন-গামা'র সংমিশ্রণ টিস্যুর ক্ষতি এবং কোষের প্রদাহের সূচনা করে যা কোভিড-১৯'এর উপসর্গগুলি দূর করলেও দ্রুত মৃত্যুও ডেকে আনে। তাঁদের এই গবেষণা কোভিড পরবর্তী রোগীদের সুরক্ষা ঝোগাতে সহায়ক তো হবেই, কোভিড-১৯'এর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দারুণ সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘Bangladesh-কে মারতে হবে না চোখ দেখালেই যথেষ্ঠ’ বাংলাদেশকে ধুয়ে দিলেন Dilip Ghosh | Bangladesh News
Narendra Modi : 'কুয়েত যেন মিনি হিন্দুস্তান', কুয়েত সফরে এসে কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
Suvendu Adhikari Live: এগরায় জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
Dev Adhikari : এবার কী আসছে খাদান ২? খাদান সাফল্য পেতেই বড়সড় ঘোষণা দেব-যীশুদের
'একটা আস্ত অশিক্ষিত...গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিদের হাতে' কড়া বার্তা শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari