ছেলে-মেয়ের পর্নোগ্রাফি সংগ্রহ ফেলে দেওয়ার দু'বার ভাবুন। নাহলে কিন্তু, এই মার্কিন বাবা-মা-এর মতো পস্তাতে হতে পারে।
ছেলে-মেয়ের জিনিসপত্র ঘাটতে গিয়ে বাবা-মায়েরা যদি পর্নোগ্রাফি বা সেই ধরণের কোনও প্রাপ্ত বয়স্ক জিনিস পেয়ে থাকেন, তবে তা ফেলে দেওয়া বা নষ্ট করে ফেলার আগে দু'বার ভাবুন। নাহলে কিন্তু, পরে পস্তাতে হতে পারে। যেমন, পস্তাতে হচ্ছে মার্কিন নাগরিক ডেভিড উইকিং-ের বাবা-মা। ছেলের পর্নোগ্রাফির সংগ্রহ ফেলে দেওয়ার জন্য, ছেলেকে ৩০,৪৪১ মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪২ বছর বয়সী ডেভিড, তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের পর ১০ মাসের জন্য মিশিগানের গ্র্যান্ড হ্যাভেনে বাবা-মায়ের বাড়িতে ছিলেন। তারপর বাবা-মায়ের বাড়ি থেকে ইন্ডিয়ানার মুন্সিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। বাবা-মায়ের বাড়ি থেকে চলে আসার পরই ডেভিড বুঝেছিলেন, বাকি সব মালপত্র রয়েছে, কিন্তু, তাঁর পর্নোগ্রাফির সংগ্রহের কিছুই নেই।এরপরই তিনি বাবা-মা'কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন। জবাবে ডেভিডের বাবা তাকে একটি ইমেইল পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি সব পর্নোগ্রাফি ফেলে দিয়েছেন। ডেভিড এই নিয়ে রাগারাগি করলে, তার বাবা ইমেলে লিখেছিলেন, 'সত্যি বলতে কি, ডেভিড, আমি এই সব জিনিস থেকে মুক্তি দিয়ে তোমার ভালই করেছি।'
ডেভিড কিন্তু, বাবা-মায়ের যুক্তি মানেননি। বরং, আদালতে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তির ক্ষতি করার অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন। বলেছিলেন, তার পর্নোগ্রাফির সংগ্রহ ফেলে দেওয়ার কোনও অধিকার নেই তার বাবা-মায়ের। অপরদিকে তার বাবা-মা যুক্তি দিয়েছিলেন, তাদের ছেলের বাড়িওয়ালা হিসেবে এই কাজ করার অধিকার তাদের আছে। আদালত অবশ্য ডেভিডের বাবা-মায়ের ই যুক্তি মানেনি। আট মাস আগে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই মিশিগানে মার্কিন জেলা জজ পল মালোনি ডেভিডের পক্ষেই এই মামলার রায় দিয়েছিলেন। বিচারক মালোনি বলেছিলেন, ধ্বংস হওয়া ওই সম্পত্তি ডেভিডের সম্পত্তি ছিল, সেই বিষয়ে কোন সংশয় নেই। আসামিরা বারবার স্বীকার করেছেন, তারা ওই সম্পত্তি ধ্বংস করেছেন।
চরম আসক্তি - অনলাইনে 'নগ্ন ছবি' পোস্ট করা শুরু করল কিশোরী, হার্ট অ্যাটাক বাবা-মা'এর, দেখুন
আরও পড়ুন - ডানা কেটে নিয়েছিল তালিবান, ছবিতে ছবিতে চিনে নিন আফগান বায়ুসেনার প্রথম মহিলা পাইলটকে
আরও পড়ুন- কাবুলে 'রুদ্ধ সঙ্গীত' - গানের স্কুলে ভাঙছে বাদ্যযন্ত্র, বাড়ছে তালিবানের আনাগোনা, দেখুন
এরপর শুরু হয়েছিল ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের পালা। ডেভিড দাবি করেছিলেন তার প্রাপ্তবয়স্ক সংগ্রহের মধ্যে ছিল পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র, ভিডিও, ম্যাগাজিন এবং প্রাপ্তবয়স্ক অন্যান্য সামগ্রী। সব মিলিয়ে তার মূল্য ছিল প্রায় ২৯,০০০ মার্কিন ডলার। আদালত, একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করেছিল ওইসব সামগ্রীর মূল্য নির্ধারণের জন্য। তার পরামর্শ মেনেই সম্প্রতি বিচারক পল মালোনি, ডেভিডের বাবা-মা'কে ৩০,৪৪১ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন। এর পাশাপাশি ডেভিডের আইনজীবীর খরচ বাবদ, তাকেও বাড়তি ১৪,৫০০ মার্কিন ডলার দিতে হবে তাদের।