ইন্টারনেটে 'নগ্ন ছবি', হার্ট অ্যাটাক হল বাবা-মা'এর ও - কিশোরীর এ কী নেশা, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
কোভিড মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ। বাড়ি থেকে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে মেয়ের। যাতে তার পড়াশোনার কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য ১৫ বছরের কিশোরীটিকে তার বাবা-মা েকটি স্মার্টফোন কিনে দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে অনলাইন ক্লাস েবং পড়াশোনার জন্য তাকে েকটা আলাদা ঘরও করে দিয়েছিলেন। সেখানেই সে সারাদিন কাটাতো। বাবা-মা ভাবতেন তাদের মেয়ে পড়াশোনা করছে, কিন্তু, মেয়েটি পড়ে গিয়েছিল েক অদ্ভূত নেশার চক্করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বিভিন্ন অনুপযুক্ত ছবি পোস্ট করতে শুরু করে। নিজের গোপনাঙ্গের খোলামেলা ছবি পোস্ট করে। সোশ্য়াল মিডিয়া যেমন জায়গা, কেউ তাকে সেই ছবি পোস্ট করতে তো বারণ করেইনি, উল্টে আসতে থাকে প্রশংসা। আর সেই কমেন্ট, লাইকের নেশাতেই নিয়মিত নিজের নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে থাকে সে।
তবে েখানেই শেষ নয়, নগ্ন ছবি পোস্ট করে লাইক আর কমেন্ট পাওয়ার নেশায় সে জড়াতে চেয়েছিল তার কিশোরী মাসতুতো বোনকেও। জানা গিয়েছে, বোনকে প্রথমে তার সেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ফলো করতে বলেছিল সে। পরে মাসতুতো বোনকেও তার মতো গোপনাঙ্গের ছবি ইন্টারনেটে পোস্ট করার অনুরোধ করেছিল।
বিষয়টি তার মাসির বাড়িতে জানাজানি হয়ে যায়। েরপর, কিশোরীর মাসির বাড়ির আত্মীয়রা তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে তার বাবা -মাকে জানান। আকাশ থেকে পড়েন তারা। বিশেষ করে শুধু নিজে নয়, মাসতুতো বোনকেও সে ই পথে চানতে চেয়েছিল, জেনে তারা প্রচন্ড ধাক্কা খেয়েছিলেন। সেই ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে দুজনেই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী মেয়েটির বাবা-মা কয়েকদিনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু, মেয়েটির নেশা তাতেও কাটেনি। েতকিছুর পরও সে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুপযুক্ত ছবি পোস্ট করে যাচ্ছিল। েরপরই হেল্পলাইনে ১৮১ নম্বরে ডায়াল করে সাইকোলজিকাল কাউন্সিলারদের সহায়তা চান তার বাবা-মা।
কাউন্সিলরা মেয়েটিকে ধীরে ধীরে বোঝান, ইন্টারনেটে নগ্ন ছবি পোস্ট করা এক ধরণের সাইবার অপরাধ। তবে খুব সহজে তার নেশা কাটানো যায়নি। তবে, নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের পর, কিশোরীটি েখন তার সেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলেছে। সে কাউন্সিলরদের জানিয়েছে, েখন থেকে সে শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্যই মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে। আর, সেটাও বাবা-মায়ের সামনে, যাতে পুরোনো নেশার ভূত আবার না ঘাড়ে চেপে বসে।