স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রথম জাতীয় পতাকার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ১৯০৬ সালে কলকাতায়। উত্তর কলকাতার পারসি বাগানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এই পতাকার নকশা করেছিলেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু এবং হেমচন্দ্র কানুনগো। এই ঘটনা কলকাতা ফ্ল্যাগ নামে পরিচিত। যদিও পরে জাতীয় পতাকার নকশার আরও পরিবর্তন ঘটেছিল।
ভারতের জাতীয় পতাকায় রয়েছে ৩টে রঙ। কমলা, সাদা এবং সবুজ। আর এদের মাঝে নীল রঙের চক্র। যাতে আবার ২৪টি স্পোক বা লম্বাটে দণ্ডের মতো দেখতে জিনিস রয়েছে। ১৯৪৭ সালে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস ঘোষণার দিন কয়েক আগে অর্থাৎ ২২ জুলাই বর্তমান জাতীয় পতাকাকে গ্রহণ করা হয়। এতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় ব্রিটিশ সরকারের অধীনে থাকা কনস্টিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি। জাতীয় পতাকায় থাকা কমলা রঙের অর্থ দৃঢ়তা-সংঘবদ্ধতা-শক্তি ও অনুপ্রেরণা। সাদা রঙের অর্থ শান্তি। এর সঙ্গে থাকা চক্রকে ধর্ম চক্র বলে চিহ্নিত করা হয়। এই চক্রটা দেখতে সারানাথ যা একটা সময় সম্রাট অশোকের রাজধানী ছিল সেখানে থাকা সারানাথ লায়নে এই ধর্মচক্র রয়েছে। সেখান থেকেই জাতীয় পতাকার ধর্মচক্রকে ধারণ করা হয়েছে। সবার নিচে থাকা সবুজ রঙের অর্থ এগিয়ে চলা, উর্বরতা এবং শষ্য শ্যামলা ভূমি ও উন্নতি। যদিও, জাতীয় পতাকার উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতার বহু বছর আগে। ১৯০৬ সালের ৭ অগাস্ট কলকাতার পারসি বাগান বর্তমানে যা গিরিশ পার্ক নামে পরিচিত সেখানে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। যদিও, এই পতাকা উত্তোলনকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা আন্দোলনের উন্মাদনায় কলকাতায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়েছিল। এই জাতীয় পতাকার নকশা করেছিলেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু এবং হেমচন্দ্র কানুনগো। এরপর জাতীয় পতাকার নকশায় আরও পরিবর্তন হয়েছিল।