India@75: ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হাতে তির ধনুক নিয়েই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সিঁধু-কানু-রা
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটা পুরো পরিবার নিজেদের উৎসর্গ করে দিয়েছিল। ফলে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রসঙ্গে এসে পড়লে কোনওভাবেই সিধু-কানু ভ্রাতৃদ্বয়ের কথা বাদ দেওয়া যায় না। যেভাবে এই দুই ভাই সশস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্রে সমৃদ্ধি ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে শুধুমাত্র তীর-ধনুককে সম্বল করে লড়াই করেছিলেন তা আজও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় স্বাধীনতার এই লড়াইয়ে সিধু-কানুর সঙ্গে তাঁর দুই ভাই এবং বোনও শহিদ হয়েছিলেন।
ব্রিটিশ শাসনের সেই জামানায় বাংলা তখনও এক বৃহৎ প্রদেশ। যার মধ্যে ছোট নাগপুর মালভূমির একটা বিশাল অংশ ছিল। আর এটা ছিল বর্তমানে বাংলা-বিহার সীমানায়। এই অঞ্চলে ব্রিটিশ অত্যাচার এবং দখলদারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন দুই সাঁওতাল ভাই সিঁধু ও কানু। তীর ধনুক সম্বল করেই আগ্নেয়াস্ত্রে সমৃদ্ধ ব্রিটিশ শক্তির কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন তারা। সালটা ছিল ১৮৫৫। সিঁধু-কানু-দের নেতৃত্বে সাঁওতালদের এই বিদ্রোহ আজ ইতিহাসে সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিতি পেয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী এই লড়াইয়ে শুধু সিঁধু-কানু নন তাঁদের পরিবারের বাকি ভাই-বোনেরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বলতে গেলে দেশের পরাধীনতার শৃঙ্খলমোচনে সিঁধু-কানুদের একটা পুরো পরিবার উৎসর্গ হয়ে গিয়েছিল। সাঁওতালদের এই বিদ্রোহ বেশিদিন চলেনি। মাত্র এক বছরের সমাপ্তি ঘটে এই বিপ্লবের। কিন্তু সাঁওতাল সমাজের এই অসামান্য লড়াই সকলকে উদ্বুদ্ধ করে। সেই সময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এক বিশাল সংগ্রামকে সংঘটিত করছিলেন ঝাঁসির রানি লক্ষ্মী বাঈ। সিঁধু-কানুদের লড়াই লক্ষ্মীবাঈ-কে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইকে সংঘটিত করতে সাহায্য করেছিল। সাঁওতাল বিদ্রোহের পরপরই ১৮৫৭ সালে হয় সিপাহী বিদ্রোহ। যার নেতৃত্বে ছিলেন লক্ষ্মীবাঈ থেকে শুরু করে তাতিয়া টোপিরা।