India@75: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীরাঙ্গণা লক্ষী সেহগল, তাঁর কাহিনি আজও অনুপ্রেরণা জোগায়
ক্যাপ্টেন লক্ষী সেহগল। ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম। আজাদ হিন্দ ফৌজে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের বাইরে আর যাদের নাম সর্বাগ্রে আসে তিনি হলেন লক্ষী। ছোট থেকে দেশপ্রেমে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন। তাই আজাদ হিন্দ ফৌজে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র আহ্বানকে উপেক্ষা করতে পারেননি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক বীরাঙ্গণা হিসাবে আজও পূজিত হন লক্ষী সেহগল।
আজাদ হিন্দ বাহিনীতে যে তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠবেন তা বুঝতে পেরেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। লক্ষী-র অদম্য জেদ এবং দেশের পরাধীনতার শৃঙ্খলমোচনে তাঁর কঠোর মানসিকতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাই আজও যখন আজাদ হিন্দ বাহিনীর কথা আলোচনা হয়, তখন সেখানে নিশ্চিতভাবে এসে পড়ে ক্যাপ্টেন লক্ষী সেহগল-এর নাম। এক তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৯১৪ সালের ২৪ অক্টোবর জন্মেছিলেন লক্ষী। বাবার নাম ছিল এস স্বামীনাথন। তিনি ছিলেন এক প্রখ্যাত আইনজীবী। বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী মৃণালিনী সারাভাই-এর বড় দিদি ছিলেন লক্ষী। তৎকালীন মাদ্রাজের কুইনস মেরি কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসক হতে মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলেন লক্ষী। ১৯৩৮ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রিও পান। কিন্তু, ততদিনে দেশের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মতো মানসিকতা তৈরি করে নিয়েছিলেন। চেন্নাই-এ চিকিৎসক হিসাবে কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৯৪০ সালে লক্ষী সিঙ্গাপুরে চলে যান। কারণ পাইলট পিকেএন রাও-এর সঙ্গে তাঁর বিয়ে টেকেনি। সিঙ্গাপুরেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর এক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল লক্ষী-র। তার মাধ্যমেই নেতাজির কাছে পৌঁছেছিলেন তিনি। ১৯৪২ সালে আজাদ হিন্দ ফৌঁজে পাকাপাকিভাবে যোগ দেন লক্ষী। স্বাধীনতার পরে তিনি সিপিএম পার্টির হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন রাজ্যসভায়। এছাড়াও তিনি নানা সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত থেকেছেন। ২০১২ সালের ২৩ জুলাই ৯৭ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।