
শ্বশুরবাড়ি কোটিপতি কিন্তু তাঁদের আয়ের উৎস দেখে মাথায় হাত ডাক্তারী পড়ুয়া নববধূর। বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, পরিচারিকা কি নেই শ্বশুরবাড়িতে। স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি তিনজনেই দামী গাড়িতে সকালে বেরিয়ে যান। ফেরেনও গাড়িতে একই সঙ্গে। প্রথম প্রথম বিষয়টি নিয়ে চিন্তা না হলেও পরে সন্দেহ বাড়ে শ্বশুরবাড়ির আয়ের উৎস নিয়ে। কৌতুহল মেটাতে একদিন পিছু নিতেই মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়ে নববধূর। তিনজনকে যে অবস্থায় তিনি দেখে ফেললেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। ঘটনাটি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই যেন হইচই পড়ে যায়।
শ্বশুরবাড়ি ভীষণ বড়লোক, তারা সবসময় বিলাসবহুল গাড়িতেই যাতায়াত করেন। সম্ভ্রান্ত পরিবার মনে করেই বিশেষ খোঁজখবর না নিয়ে বাড়ির লোক মেয়ের সম্বন্ধ ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িরে লোকেরা কীভাবে বড়লোক, আসল সত্যটা জেনে ফেলতেই একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন নববধূ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, ওই যুবতী ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করছেন। নববধূ জানান, শ্বশুরবাড়িতে কোনও রকম অভাবের চিহ্ন নেই বরং সুন্দর বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি, এমনকি বাড়িতে রয়েছে সবসময়ের জন্য পরিচারক, পরিচারিকা। নববধূর দাবি, শ্বশুরবাড়ির আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে এমনটাই জানেন তিনি।
যুবতী আরও জানান, বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে প্রতিটা দিনই স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি বেরিয়ে যেতেন কাজে যাচ্ছেন বলে। আবার একসঙ্গে তিনজনই ফিরতেন। ব্যবসার বিষয়ে কথা উঠলেই সকলে এড়িয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে যেতেন বলে দাবি যুবতীর। একদিন কৌতূহল চেপে রাখতে না পেরে স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি বাড়ি থেকে বেরোতেই যুবতী পিছু নিয়ে নেন। তাঁদেরকে দূর থেকে অনুসরণ করতে থাকেন । তরুণী জানান, একটা নির্দিষ্ট স্থানে যেতেই গাড়ি থেকে নামেন তিনজনই। স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি ছেঁড়া পোশাক বার করে গায়ে গলিয়ে নেন । তারপর তিন জন তিন দিকে হাতে একটি করে বাটি নিয়ে চলে যান ভিক্ষা করতে। কোটিপতি বাড়ির সদস্য স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে ভিক্ষা করতে দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন নববধূ। বুঝতে পারেন টাকার আয়ের উৎস হল ভিক্ষাবৃত্তি । আর এই পেশাতেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা কোটিপতি হয়েছে। তরুণীর আরও দাবি, এক জন মেকআপ আর্টিস্টও রেখেছেন তাঁরা ভিখারিবেশে সাজানোর জন্য । জানা যায় ঘটনাটি লাহোরের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।