বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে ২৭ মার্চ। শুরু হল বাংলার মসনদ দখলের লড়াইয়ের প্রথম পর্ব। আট দফা নির্বাচনের প্রথম পর্বেই নানা দিক থেকে উঠে এল হিংসার খবর। প্রার্থী আক্রান্ত থেকে, ইলেকশন এজেন্টের গাড়ি ভাঙচুর, ভোটারদের মারধর থেকে প্রভাবিত করার অভিযোগ, এমনকী শাসক দলের প্রার্থীর বিরোধী কর্মীকে গুলি করার হুমকি থেকে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ বাদ গেল না কোনও কিছুই। অবশেষে প্রথম দফা ভোটের শেষে নির্বাচন কমিশনের বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশ।
শনিবার প্রথম দফার ভোটে রাজ্যের ৫ জেলার ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার ৩০ টি আসনে ১৯১ জন প্রার্থীর ভাগ্যনির্ধারণ হল। মোতায়েন করা হয়েছিল ৬৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দিনভর বিক্ষিপ্ত নানা অশান্তির মধ্যেও দিনভর মানুষের মধ্যে ভোটদানের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানে অংশগ্রহণ খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ৫ টে ৪০ মিনিট পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ৮০.০৩ শতাংশ, ঝাড়গ্রামে ৮০.৫৫ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮০.১৬ শতাংশ, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮২.৪২ শতাংশ এবং পুরুলিয়ায় ৭৭.১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোটের দিন দুপুর গ়ড়াতেই নির্বাচন কমিশনে ধন্যবাদ জানাল বিজেপি। বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন,'এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গ শেষ ৪ দশকে দেখেনি। প্রথম দফার ভোটে ৯০ শতাংশ বুথে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়েছে কিছু দুষ্কৃতীর জন্য। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে সেই দুষ্কৃতীদের বন্দি করতে পারলে ১০ শতাংশ গোলমালটাও হবে না।' অপরদিকে ৮০ শতাংশ ভোট পড়ায় খুশি শাসক দলও। ভোটদানের হার ৮০ শতাংশ মানে আমরা থাকছি, কম হলেই ভয়ের কারণ ছিল বলে জানিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফলে ভোটের হারে খুশি দুই দল। শেষ হাসি দেখার জন্য অপেক্ষা ২ মে-র।