পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা দেশের কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এদিকে এরই মধ্যে চলছে একুশের নির্বাচন। বাকি এখনও দুই দফা। এই পরিস্থিতিতে যাবতীয় মিছিল, সভা, রোড শোয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা পড়তেই ক্ষুব্ধ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কমিশনকে টুইটে তোপ দাগলেন তৃণমূলের যুবরাজ। যদিও দাবিটা , কেন মোদী সফর বাতিলের পরেই প্রচারে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, এবার ভোটের মাঝেই রাজ্যের একাধিক প্রার্থীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আরও মর্মান্তিক খবর এটাই যে, করোনায় প্রাণও হারিয়েছেন একুশের নির্বাচনের দুই প্রার্থী। উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সামসেরগঞ্জ বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। আর তারপরেই মৃত্যু হয় আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ১১ হাজার ৯৪৮। বলতে গেলে প্রতি দিনই প্রায় ১০০০ এর আশেপাশে বাড়ছে সংখ্যা। এর মধ্য়ে কলকাতাতেই ২৬৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছে করোনায়।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের দুই প্রার্থী মদন মিত্র ও সাধন পান্ডে। এই পরিস্থিতিতেও লাগাতার চলছিল যাবতীয় মিছিল, সভা, রোড শো। তবে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বামেরা আগেই এবার বড় সভা করবে না জানিয়েছিল। সবার আগে সফর বাতিল করেন রাহুল গাঁন্ধী। এরপর মমতা-মোদী সহ একে একে সকলেই নির্বাচনী প্রচারের সভা বাতিল করেন। বাধ্য সভা বাতিল করতে হয়েছে অভিষেকেরও। আর এখানেই চটলেন অভিষেক। ঢাল বানালেন খোদ প্রধানমন্ত্রীকেই।
এদিন টুইট করে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, মোদী সফর বাতিল হওয়ার কারণেই কি নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন। কমিশনকে তোপ দেগে তৃণমূলের যুবরাজ বলেছেন, এই আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। এটা কার্যকর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্টমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই' বলে ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। যদিও শুধু অভিষেকই নয়, আগেও একাধিক বার কমিশনকে আক্রমণ করেছেন মমতাও। কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘেরাও বলে নোটিশ পেয়েছেন মমতা। এবার সেই পথেই কি অভিষেক, চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।