রাজ্য়ে ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতি। এদিকে সবে ষষ্ঠ দফা ভোট শেষ হয়েছে। বাকি এখনও আরও দুই দফা। এই পরিস্থিতিতে যাবতীয় মিছিল, সভা, রোড শোয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মূলত হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পর বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। এবং শুক্রবার জরুরী বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্য দফতরের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ১১ হাজার ৯৪৮। বলতে গেলে প্রতি দিনই প্রায় ১০০০ এর আশেপাশে বাড়ছে সংখ্যা। এর মধ্য়ে কলকাতাতেই ২৬৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। পাশাপাশি এবার ভোটের মাঝেই রাজ্যের একাধিক প্রার্থীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আরও মর্মান্তিক খবর এটাই যে, করোনায় প্রাণও হারিয়েছেন একুশের নির্বাচনের দুই প্রার্থী। উল্লেখ্য, ১৫ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সামসেরগঞ্জ বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। আর তারপরেই মৃত্যু হয় আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। এদিকে চলতি সপ্তাহেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এবং তৃণমূলের দুই প্রার্থী মদন মিত্র ও সাধন পান্ডে।
আরও পড়ুন, ভোট কেন্দ্রে কোভিড বিধি না মানলে কড়া ব্যবস্থা, তৃণমূলের দাবি খারিজ কমিশনের
অপরদিকে এই পরিস্থিতিতেও লাগাতার চলছিল যাবতীয় মিছিল, সভা, রোড শো। তবে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বামেরা আগেই এবার বড় সভা করবে না জানিয়েছিল। সবার আগে সফর বাতিল করেন রাহুল গাঁন্ধী। এরপর মমতা-মোদী সহ একে একে সকলেই নির্বাচনী প্রচারের সভা বাতিল করেন। এবিষয়ে আব্দুল মান্নান বলেওছেন যে, ভোট বারবার আসে। কিন্তু জীবন চলে গেলে ফিরে আসে না। এমনই একসময় নির্বাচন কমিশনকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই কার্যত নড়ে বসে কমিশন। এদিন তাই কমিশন নতুন কী বার্তা দেয় তা শোনার অপেক্ষায় সকল রাজনৈতিক দল। উল্লেখ্য, যদিও কোভিডের যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূলের দাবি অনুযায়ী একদিনেই সব ভোট করার পক্ষে নেই কমিশন।