সংক্ষিপ্ত
- সরিয়ে দেওয়া হল রামপুরহাটের প্রশাসককেই
- 'যারা সরিয়েছে তারাই কারন বলতে পারবে'
- বললেন দলের রামপুরহাট শহর সভাপতি
- 'দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিলাম', বার্তা অশ্বিনীর
ভোট মিটতেই শুদ্ধিকরণ শুরু হল তৃণমূলে। সরিয়ে দেওয়া হল রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসককেই । প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে রামপুরহাট পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অশ্বিনী তেওয়ারিকে। দলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'যারা সরিয়েছে তারাই কারন বলতে পারবে।'
আরও পড়ুন, 'সংবিধান মেনেই যাব', শীতলকুচি সফর ইস্যুতে মমতাকে টুইটে তোপ রাজ্যপালের
রামপুরহাট পুরসভার ৫ বারের কাউন্সিলর অশ্বিনী তেওয়ারি। প্রথম দিকে নির্দল পরে দু'বার তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করেন তিনি। তৃণমূলে ঢুকেই তিনি রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসেন। বেশ কিছু দিন থেকে তার বিরুদ্ধে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিদায়ী কাউন্সিলর অসহযোগিতার অভিযোগ করে আসছিলেন। এমনকি একটি গাড়ি কেনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক টেনে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। ভোট মিটতেই এবার তাকে সরিয়ে দেওয়া হল। তার জায়গায় প্রশাসক করা হয়েছে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর, পুর সদস্য মীনাক্ষী ভকতকে। সদস্য করা হয়েছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সুব্রত মাহারাকে। দলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সুশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'রামপুরহাট পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে আমরা পরাজিত হয়েছি। সেই দায়ভার মাথায় নিয়ে আমি পদত্যাগ করেছি। তবে অশ্বিনীর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ নেই। যারা সরিয়েছে তারাই কারন বলতে পারবে।'
আরও পড়ুন, জ্বলেই চলেছে চুল্লির আগুন, কোভিডে একদিনের মৃত্যুতে শীর্ষে কলকাতা
অশ্বিনী তেওয়ারি বলেন, 'পরাজয়ের কারণে হয়তো আমাকে সরানো হয়েছে। তবে আমরা অধিকাংশ ওয়ার্ডেই হেরেছি। সেই দায় হয়তো আমার। তাই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিলাম।'