তাপস দাস, বাঁকুড়া- যোগ দিয়েই টিকিট পেলেন। পেলেন শুধু নয়, হঠিয়ে দিলেন এলাকার নেত্রীকে। সে নিয়ে গোঁসাও হয়েছিল স্থানীয়দের। পরে অবশ্য সব মিটেই গেছে। মুড়ি শসায় সমাপয়েৎ হয়েছে অভিমানের।
সায়ন্তিকার তৃণমূল যোগ ও শম্পা দরিপার অভিমান নিয়ে অনেক হরফ খরচ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই আটকায়নি। সায়ন্তিকার জন্য প্রচারে নামার কথা জানিয়েই দিয়েছেন শম্পা। এদিকে বাঁকুড়া জেলায় যে দরিদ্র আদিবাসীর বাড়িতে অন্নগ্রহণ করে খবরের কাগজের প্রথম পাতায় নাম তুলেছিলেন অমিত শাহ, আর যাঁর কল্যাণে খ্যাত হয়েছিলেন বিভীষণ হাঁসদা, তাঁর অসুস্থ মেয়ের জন্য চিকিৎসার খরচ দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিরোনামে এসেছেন সায়ন্তিকা।
আরও পড়ুন- জ্বালানী মূল্যবৃদ্ধিতে অভিনব প্রতিবাদ, গরুর গাড়ি চেপে প্রচারে তৃনমূল প্রার্থী
অবশ্য সায়ন্তিকার তৃণমূলে যোগই শিরোনামে এসেছিল। ভোটের আগে রুপোলি পর্দার যে এক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, সায়ন্তিকা তাঁদের অন্যতম। বাঁকুড়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবার সময়ে নাচ বা চিনি দিয়ে চা-বিজেপি এখান থেকে যা শ্লোগান, এসব নানা ধরনের জনমোহিনী পদক্ষেপের মাধ্যমে ভোট জয় করার লক্ষ্যে রয়েছেন সায়ন্তিকা।
তৃণমূল ভবনে হাজির হয়ে তিনি যেদিন শাসক দলে যোগদান করেছিলেন, সেদিন তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সংবাদিক সম্মেলনে সেদিন সায়ন্তিকা বলেছিলেন, '১০ বছর ধরে সঙ্গে ছিলাম।আজ অফিশিয়ালি দলে যোগ দিলাম। মমতা বন্দোপাধ্যায় সুযোগ করে দিয়েছেন। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, আশা করি সেটা পালন করব। মানুষের সেবা করব। সঠিক সময় এসেছে, বাংলার মানুষের ইচ্ছা প্রকাশ করার।'
আপাতত সায়ন্তিকার ইচ্ছা স্পষ্ট। তাঁকে ভোটে জেতান এলাকার মানুষ। সে স্বপ্ন সফল হবার জন্য রুপোলি পর্দার চমকদারি কতটা কাজে দেয়, তা অবশ্য সময়ই বলবে।