কয়লাপাচার কাণ্ডে আরও একধাপ এগোল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গ্রেফতার এবার এক পুলিশ আধিকারিক। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া থানার আইসিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি বিনয় মিশ্রের ঘনিষ্ঠ বলে খবর মিলেছে। ওদিকে, ফের অনুপ মাঝি ওরফে লালকে তলব করেছে সিবিআই।
আরও পড়ুন, ফের প্রার্থী বদল TMC-র, ওদিকে তৃতীয় দফার আগে ৩ পুলিশ অফিসারকে সরাল কমিশন
কয়লাপাচার কাণ্ডে এবার ইডির জালে, অশোক মিশ্র নামের বাঁকুড়া থানার ওই আইসিকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, একটি বিতর্কিত অডিও টেপ প্রকাশ্য়ে আসার পরেই অশোক মিশ্রকে নয়াদিল্লি থেকে শতাবিরা রাত ১১টায় গ্রেফতার করে ইডি। এরপর দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে আইসি অশোক মিশ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, রবিবার থাকে আদালতে তোলা হবে। উল্লেখ্য, কয়লাকাণ্ডে এটি দ্বিতীয় গ্রেফতার বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'জেলার মানুষ আর ওদের পাশে নেই', অধীর গড় ধরে রাখতে নয়া স্ট্রাটেজি কি 'দাদা'-র
অপরদিকে, ফের অনুপ মাঝি ওরফে লালকে তলব করেছে সিবিআই। ৫ এপ্রিল তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নিজাম প্যালেসে কয়লা পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে যেতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশনামা অনুযায়ী, আপাতত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তাকারি সংস্থা। তাই বহু তলবের পর গত মাসে নিজাম প্য়ালেসে সিবিআই এর দফতরে হাজিরা দেন কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। তাঁকে টানা ৭ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারি সংস্থার গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন, 'দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল-তাই প্রার্থী করিনি', বিস্ফোরক মমতা
উল্লেখ্য, খাদান থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে পাচারের অভিযোগ লালার বিরুদ্ধে। এই কাজে লালাকে সাহায্য করেছে ইসিএল, নিরাপ্ততা সংস্থা সিআইএসএফ, রেলের উচ্চপদস্থ কর্মীচারীরাও। তার এই কর্মকাণ্ডে রাজ্য়ের একাধিক প্রভাবশালী ব্য়াক্তিরও যোগ রয়েছে। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকা তাঁদের কাছে পৌছে দিতেন লালাই।
পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বিনয় মিশ্র এবং ভাই বিকাশেরও। ইতিমধ্যে বিকাশকে গ্রেফতারও করেছে ইডি। তাঁকে জেরা করে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের মূল চক্রী লালার ব্যাবসা ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রভাবশালীদের পিছনেই ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের শিকড়ে পৌছতে এই ঘটনায় জড়িত ব্য়ক্তিদের একটা তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরেই এগোচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।