সংক্ষিপ্ত
- 'আমি অনেক অপমানিত, অনেক বিরক্ত হয়েছি'
- এদিকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের আগেই বলেন দেবশ্রী
- এদিন রায়দিঘিতে অন্যকারণ দেখালেন মমতা
- যার জেরে জোর চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে
'দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল-তাই প্রার্থী করিনি, আর সেই রাগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে', শনিবার রায়দীঘির জনসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। যার জেরে জোর চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলেও।
আরও পড়ুন, 'নন্দীগ্রামে আমিই জিতব', শাহ-র তোপ গিলে উত্তরবঙ্গে বিস্ফোরক মমতা
'দেবশ্রী রায়কে নিয়ে ক্ষোভ ছিল-তাই প্রার্থী করিনি', ফিরে দেখা যাক, সাল যখন ২০১১
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে প্রথমবার তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ার সুযোগ পান অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়। প্রথম ভোটেই দীর্ঘ দিনের বিধায়ক-মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে হারিয়ে দেন অভিনেত্রী। এদিকে এরপর দেবশ্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি নাকি এলাকায় যান না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভোটে জেতার পরেও দূরত্ব রেখে চলেন। এরপরেও ২০১৬ সালে ফের ভোটে লড়ে ফের জয়ী হন দেবশ্রী। সেবারও হারিয়ে দেন কান্তি গঙ্গোপাধ্য়ায়কে। কানাঘুষো ভাসে দলে মমতার প্রিয় প্রাত্রী দেবশ্রী। এদিকে দুই বার জেতার পর আচমকা এমন কি হল, যে একুশের গুরুত্বপূর্ণ ভোটতেই টিকিট পেলেন না দেবশ্রী। এদিন এরই উত্তর দিলেন রায়দীঘির সভায় মমতা। শনিবার রায়দিঘির জনসভায় এসে দেবশ্রী রায়কে তোপ দেগে বলেছেন, 'দেবশ্রী রায়কে নিয়ে এখানকার মানুষের ক্ষোভ ছিল-তাই প্রার্থী করিনি, আর সেই রাগেই বিজেপিতে দিয়েছে। কলকাতা থেকে এতদূরে আসতে পারতেন না।' যদিও টিকিট না পেয়ে গেরুয়াশিবিরের সঙ্গে যোগ শুরু করেন।
আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ, তৃণমূলের অভিযোগ পেয়ে ডানা ছাঁটল কমিশন
'আমি অনেক অপমানিত, অনেক বিরক্ত হয়েছি'-তবে কেন বলেছিলেন দেবশ্রী ?
এদিকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগেই দেবশ্রী রায় জানিয়েছিলেন, 'আর রায়দিঘি থেকে ভোঁটে দাঁড়াতে চাইছি না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। খুব দ্রুত দলকে সেটা জানিয়ে দেব'। কিন্তু কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত, তার উত্তরে দেবশ্রী জানিয়েছিলেন, 'আমি অনেক অপমানিত, অনেক বিরক্ত হয়েছি। টোটো কেলেঙ্কারি নিয়ে অনেক অপবাদ সহ্য করতে হয়েছে। দলেরই একাশ এটা করছে। এমনকি ফোনে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। দলের লোকেরাই দিচ্ছে। তাঁরা চায় না আমি রায়দিঘি থেকে পার্থী হই, বিধায়ক হই। টোটো কেলেঙ্কারি নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার করা হচ্ছে। সেসব কথা নেত্রীকে জানিয়েছি। কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় রায়দিঘি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।