ভোট পরবর্তী হিংসা রাজ্যুজুড়ে। সোনারপুর থেকে জগদ্দল, উত্তর থেকে দক্ষিণ। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে হিংসার খবর। বিজেপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর এই নিয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহ-র মন্ত্রক থেকে এই বিষয়ে রাজ্যকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, কেন এখনও রাজ্যে ৩ মে-তে হওয়া ভো পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হল না। এই চিঠিরও যদি উত্তর না দেওয়া হয় তা হলে সেটি নির্দেশের লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা এই চিঠিতে লিখেছেন, ' পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা ক্রমাগত ঘটেই চলেছে। কিছুতেই কেন হিংসা থামানো যাচ্ছে না তা রিপোর্টে উল্লেখ করা হোক।'
আরও পড়ুন: বিজেপি কি 'খেলবে' না রাষ্ট্রপতি শাসন চাইবে - কী বললেন নাড্ডা
হিংসা থামতে এখনই কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা রাজ্যের কাছে জানাতে চেয়েছে কেন্দ্র। বুধবার জাতীয় মানবধিকার সংস্থা (NHRC)-বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। বিজেপি-র অভিযোগ ভোট পরবর্তী হিংসায় বাংলায় তাদের ১৪ জন কর্মী খুন হয়েছেন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বাংলায় এসে আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন:যাদবপুরের BJP প্রার্থী রিংকু নস্করের বাড়িতে হামলা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
জেপি নাড্ডা দাবি করেছেন, ২ মে-র পর থেকে এদিন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে তাদের পরিবারও। হামলার মূল লক্ষ্য করা হয়েছে মহিলাদের। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, লুঠপাঠ চলছে। এমনকী গোটা গ্রাম ধরে ধরে লুঠের ঘটনাও ঘটেছে। আতঙ্কে বহু মানুষ গ্রামছাড়া। অনেককে পরিবার নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য অসমে আশ্রয় নিতে হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। যে কয়েকজন কর্মী খুন হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের তদন্তের প্রত্যেক ধাপের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসনেকে চাপে রাখবে বিজেপি। তারা যাতে ন্যায় বিচার পায়, তা নিশ্চিত করবে দল।
প্রসঙ্গত, গত ২ মে রবিবার বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে হিংসার খবর। হিংসায় বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ভয়াবহ ছবিও উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমে। খুন-জখমের ঘটনা যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে জয়-পরাজয়ের খবরকেও।