সংক্ষিপ্ত
রাজ্য জুড়ে শুরু চলছে ভোট-পরবর্তী হিংসা
তাদের অন্তত ১৪ জন কর্মী খুন হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা
বিজেপি কি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইবে, তারাও 'খেলবে'
২ মে বাংলার নির্বাচনের ফল বের হতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ভোট-পরবর্তী হিংসা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জয়ী দল তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। এই অবস্থায় মঙ্গলবারই রাজ্যে পা রেখেছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শহরে পা রেখেই কাঁকুড়গাছি ও সোনারপুরে আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এদিনও জগদ্দলে আক্রান্ত কর্মীদের বাড়ি যান তিনি। এই হিংসার প্রেক্ষিতে কি বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন চাইবে, নাকি তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে 'খেলবে' বিজেপিও? কী বললেন নাড্ডা?
এদিন, সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির জাতীয় সভাপতি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শাসন বা ৩৫৬ ধারা জারি করার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে রাজ্যপাল যদি মনে করেন, রাষ্ট্রপতি শান জারি করার প্রয়োজন আছে, তবে তিনি তা সুপারিশ করে পাঠান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। এরপর বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই প্রতিবেদন যাচাই করে, সেই বিষয়ে মত দেয়। তারপরই সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রক। কাজেই এই বিষয়ে বিজেপির কিছু করার নেই। তবে, বঙ্গে নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলেও, যে ৭৭ আসন দিয়ে বাংলা বিজেপিকে প্রধান প্রতিপক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্ব বিজেপি নিষ্ঠা সহকারে পালন করবে।
জেপি নাড্ডাদাবি করেছেন, ২ মে-র পর থেকে এদিন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৪ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে তাদের পরিবারও। হামলার মূল লক্ষ্য করা হয়েছে মহিলাদের। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, লুঠপাঠ চলছে। এমনকী গোটা গ্রাম ধরে ধরে লুঠের ঘটনাও ঘটেছে। আতঙ্কে বহু মানুষ গ্রামছাড়া। অনেককে পরিবার নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য অসমে আশ্রয় নিতে হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। যে কয়েকজন কর্মী খুন হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের তদন্তের প্রত্যেক ধাপের অগ্রগতি নিয়ে প্রশাসনেকে চাপে রাখবে বিজেপি। তারা যাতে ন্যায় বিচার পায়, তা নিশ্চিত করবে দল।