পাহাড়ের ৩ আসন বিমল গুরুংকে ছেড়েছিলেন মমতা
এদিন প্রার্থী ঘোষণা করলেন গুরুং
বিজেপির সঙ্গে এবার কঠিন লড়াই মানলেন তিনি
তবে তাঁর দিক থেকে মুখ ফেরালো তামাং-রা
পাহাড়ের ৩ আসন 'বন্ধু দল' গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তিনি ফের পাহাড়ের রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনেছিলেন বিমল গুরুং-কে। মঙ্গলবার, মালিধুরায় এক জনসভা থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন বিমল গুরুং।
দার্জিলিং কেন্দ্রে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থী পি টি ওলা, কালিম্পং-এ আর বি ভুজেল এবং কার্সিয়াং কেন্দ্রে থেকে প্রার্থী হয়েছেন নরবু জি লামা। তিনটি কেন্দ্রেই দলীয় প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিমল গুরুং। কারণ, তাঁর মতে, বিজেপিকে মানুষ চিনে গিয়েছে। বিজেপির নিজের দলের কর্মীরাই এখন বিজেপির উপরে ক্ষুব্ধ। দীর্ঘদিন ধরে যারা বিজেপির হয়ে কাজ করা নেতা-কর্মীরাও টিকিট পাননি। বদলে, অন্য দল থেকে লোক ভাঙিয়ে এনে টিকিট দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। এর জবাব আসন্ন ভোটে মানুষ দেবে।
আরও পড়ুন - মমতা, আব্বাস না বিজেপি - কোথায় যাবে মুসলিম ভোট, বাংলার নির্বাচনে এবার সবথেকে বড় ধাঁধা
আরও পড়ুন - শেষ বাজারে আচমকা মমতার হিন্দুত্বের তাস, নির্বাচনে কতটা সুবিধা দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে
তবে পাহাড়ে এবার লড়াইটা যে কঠিন, তাও মেনে নিয়েছেন বিমল গুরুং। তবে তাতে এতটুকু না ঘাবড়ে গিয়ে তিনি বলছেন, প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলে তবেই লড়াই করে মজা আছে। তবে, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খোলা গুরুং-এর নিজের দলই এখন গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জর্জরিত। দলের মধ্যে বিনয় তামাং-এর সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে। তাঁরা বিমল গুরুং-এর পাহাড়ের রাজনীতিতে ফিরে আসাটা মেনে নিতে পারছেন না। এই অবস্থায় তামাং গোষ্ঠী পাহাড়ের ৩ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যেদিন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থী ঘোষণা করা হল, সেই একই দিনে প্রকাশ্যে বিনয় তামাং গোষ্ঠীর প্রার্থীদের সমর্থনের করার কথা জানালো তামাং যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। এদিন শিলিগুড়ি জার্নালিষ্ট ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করে আসন্ন নির্বাচনে বিনয় তামাং-এর পাশে থাকা কথা জানান তামাং যুব সংগঠনের নেতারা। তাঁদের দাবি, বিগত কয়েক বছরের পাহাড়ের উন্নয়নে বিনয় তামাং-এর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর বিমল গুরুং সেখানে পাহাড়ে ছিলেনই না। তাই তাঁর পরিবর্তে বিনয়কেই সমর্থন করবে তারা। প্রসঙ্গত, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পং - পাহাড়ের তিনটি বিধানসভার কেন্দ্র মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার ভোটার তামাং সম্পদায়ের। কাজেই তামাং ভোট হারাতে হলে, লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়বে বিমল গুরুং শিবিরের জন্য।