নির্বাচন শেষ হওয়ার হিংসা থামতে না
ডোমজুড়ে 'খেলা হবে' এবং 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ
বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ
থমথমে সলপ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিবড়া এলাকা
নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত ডোমজুড়। শনিবার চতুর্থ দফার ভোট শেষ হওয়ার সামান্য আগেই 'খেলা হবে' এবং 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ডোমজুড় বিধানসভার সলপ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিবড়া এলাকায়। কথা কাটাকাটি গড়ায় দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিতে। শেষে ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের উপরই লাঠিচার্জ করে তারা উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তাতেও অবশ্য আবহাওয়া ঠান্ডা হয়নি। গ্রামের ঢোকার মুখে, তৃণমূল কংগ্রেসের ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি এবং আশপাশের আরও দুই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করে বিজেপি কর্মীরা। এমনটাই অভিযোগ করেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য ভাঙচুরের ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, জনরোষের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুরের সঙ্গে তাদের দলের কেউ জড়িত নয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকার আবহাওয়া এখনও থমথমে। ডোমজুড়ে এবার বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন, গত দুইবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক পদে জয়ী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী জেলার আরেক দাপুটে নেতা কল্যানেন্দু ঘোষ। কাজেই প্রচারের দিন থেকেই এই কেন্দ্রে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রচারে বেরিয়ে প্রথমদিনই বাধার মুখে পড়েছিলেন রাজীব।
প্রথম দফার ভোটের দিন থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা দেখা যাচ্ছিল। চত্রুর্থ দফায় হিংসা চরমে উঠেছে। এদিন কোচবিহারের শীতলকুচিতে দুই জায়গায় দুটি পৃথক ঘটনায় মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলি চালানোরর ঘটনায় আঙুল উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে। তবে গত তিন দফার মতো এই দফাতেও, জায়গায় জায়গায় ভোট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক হিংসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।