ভাষণ শেষ হতেই মমতার পাশের চেয়ারেই মোদী, তারপর কী হল, জানুন বিস্তারিত

Published : Jan 23, 2021, 08:35 PM ISTUpdated : Jan 23, 2021, 08:39 PM IST
ভাষণ শেষ হতেই মমতার পাশের চেয়ারেই মোদী, তারপর কী হল, জানুন বিস্তারিত

সংক্ষিপ্ত

'জয় শ্রীরাম' স্লোগান শুনেই  কোনও বক্তব্যই রাখেননি মমতা   এরপর জয় শ্রীরামের ভক্তরা বেশিদূর এগোনোর সাহস দেখাননি শনিবার মোদীর কণ্ঠে, 'নেতাজির আত্মনির্ভর সোনার বাংলা' বাংলা মানুষ সাড়া দেবে কি, উত্তর পেতে অপেক্ষায় কয়েকটা মাস 


ভিক্টোরিয়ায় 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান শুনেই ক্ষোভের চোটে নেতাজী জন্মদিনে কোনও বক্তব্যই রাখেননি মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সাফ জানালেন, আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা যায় না। প্রতিবাদ জানিয়ে 'জয়হিন্দ' বলে সিটে বসে  যান মমতা।  এদিকে  মমতার উঠে যাওয়াকে কেন্দ্র ব্যপক হইচই রাজ্য-রাজনীতিতে। এরপর শুরু প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ। মোদীর কণ্ঠে নেতাজির আত্মনির্ভর সোনার বাংলা। এদিকে এরপর ভাষণ শেষ হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের চেয়ারেই এসে বসেন প্রধানমন্ত্রী।  ততক্ষণে মঞ্চে শুরু হয়ে গিয়েছে নেতাজি-কে নিয়ে এক পিক্টোরাল গ্রাফিক্সের প্রদর্শনী। তারপর আর কী দুজনের চোখাচোখি হল, জানুন বিস্তারিত।

আরও পড়ুন, 'এটা কী ধরনের রাজনীতি', 'জয় শ্রীরাম স্লোগানে অপমানিত মমতা' ইস্যুতে তোপ অমিত-কৈলাসের 

 


 
জয় শ্রীরামের ভক্তরা বেশিদূর এগোনোর সাহস দেখাননি


 মমতার এমন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখে স্বাভাবিকভাবেই সকলেই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন। সবচেয়ে বড় বিষয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বরাবরই একটি প্রচণ্ড ঐতিহ্যশালী এবং পরিমিত নিয়ম-শৃঙ্খলার ঘেরাটোপেই বন্দি থাকে। এখানকার অনুষ্ঠানেও বজায় থাকে সেই গাম্ভীর্য। কিন্তু, নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের অনুষ্ঠানে যে তাল কেটে দিয়েছিল জয়শ্রীরাম ধ্বনি। আর সেই বেসুরো তালকে আরও খান-খান করে ভেঙে দিচ্ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ। অনেকেই মনে করেছিলেন জয়শ্রীরামের ধ্বজাধারীদের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়াটা হয়তো আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। তবে, সেটা আর হয়নি। হয়তো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গাম্ভীর্যময় পরিবেশ এবং ঐতিহ্যের কথা ভেবে জয় শ্রীরামের ভক্তরা বেশিদূর এগোনোর সাহস দেখাননি। 

'মোদীর কণ্ঠে নেতাজির আত্মনির্ভর সোনার বাংলা', বাংলা মানুষ সাড়া দেবে কি

আরও পড়ুন, 'ভারতের প্রতিটি নাগরিক নেতাজির কাছে ঋণী- তা শোধ করব কী করে', প্রশ্ন মোদীর  

 

 

ভাষণ শেষ হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের চেয়ারেই এসে বসেন প্রধানমন্ত্রী। দুজনের চোখাচোখি হওয়ার আগেই ততক্ষণে মঞ্চে শুরু হয়ে গিয়েছে নেতাজি-কে নিয়ে এক পিক্টোরাল গ্রাফিক্সের প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানের এক্কেবারে শেষভাগে জাতীয় সঙ্গীতের পর সকলরেই চোখ ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী-র উপরে। না, রেগে থাকা মমতা এবার কোনও ভুল করেননি, সৌজন্যের এক ঝলক দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী-র সঙ্গে অভিবাদন সারেন তিনি। আর এরপরেই লাইভ ক্যামেরায় সম্প্রচার বন্ধের সিগন্যাল। কালো হয়ে যাওয়া লাইভ স্ক্রিনে তখন একটাই আওয়াজ- মোদীর কণ্ঠে নেতাজির আত্মনির্ভর সোনার বাংলা। বাংলা মানুষ সাড়া দেবে কি, উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আর কয়েকটা মাস। 

PREV
click me!

Recommended Stories

Saugata Roy Cigarette Incident: সংসদে সিগারেট কাণ্ড, তৃণমূলের সৌগত রায়কে ধুয়ে দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব
ভোটার তালিকা সংশোধনের সময়সূচি বদল, খসড়া তালিকা প্রকাশ নিয়েও বড় আপডেট কমিশনের