সংক্ষিপ্ত
- নেতাজিকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন মোদী
- বারংবার নেজাজির বলা কথা মনে করা সবাইকে তিনি
- ভারতের প্রতিটি নাগরিক নেতাজির কাছে ঋণি থাকবে
- শোধ করব কী করে', এদিন প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
শনিবার কলকাতায় পৌঁছে ভিক্টোরিয়া নেতাজিকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন মোদী। এদিন নরেন্দ্র মোদী দুপুর ২.৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বিমান অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। মোদীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং পূর্ণেন্দু বসু সহ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৩ জন। এরপর নেতাজী ভবন, ন্যাশনাল লাইব্রেরি ঘুরে এসে ভিক্টোরিয়ায় প্রবেশ করেন মোদী।
আরও পড়ুন, কাসুন্দি দিয়ে সিঙাড়া থেকে জলভরা সন্দেশ, খাঁটি বাঙালিয়ানায় অতিথি আপ্যায়ন ভিক্টোরিয়ায়
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নেতাজি বলেছিলেন, স্বাধীন ভারতের স্বপ্নের আশা কোনদিনও হারিও না। বিশ্বে এমন কোনও শক্তি নেই যে, ভারতকে আটকে রাখতে পারে।আজ আমাদের কাছে একটা উদ্দেশ্য আছে, শক্তিও আছে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের।নেতাজি বলেছিলেন, ভারত ডাকছে। সময় নষ্ট করবার সময় নেই। নেতাজি সুভাষ ডাক দিয়েছিলেন দিল্লি চলো। নেতাজি লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। নেতাজী বলেছিলেন আমাদের কেবল একটি ইচ্ছা থাকা দরকার। বিশ্বযুদ্ধের সময় দেশের মধ্যে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছিল। সেই সময় তিনি বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভারতের জন্য সমর্থন চাইছিলেন। এরপরেই মোদী বলেন, নেতাজীর ১২৫ তম জন্মদিনে মোদী দেশবাসীর উদ্দেশ্য়ে বলেছেন, 'ভারতের প্রতিটি নাগরিক নেতাজির কাছে ঋণি- শোধ করব কী করে।'
আরও পড়ুন, জন্মদিনেই ভাঙা হল নেতাজীর ছবি তৃণমূল কার্যালয়ে, ধুন্ধুমার শান্তিপুর
জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কলকাতা সফর শেষ করে দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাত ৮ টার বিমানে দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি। উল্লেখ্য, এদিন, সবচেয়ে বড় ছন্দ পতন ঘটে, মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করার আগেই ভেসে আসে জয় শ্রীরাম স্লোগান। এরপর বক্তব্য না দিয়েই জয়হিন্দ বলে বসে যান ক্ষুব্ধ মমতা। তবে যতোই এগিয়ে আসছে ভোট, ততোই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে সরগরম হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি।