পুরুলিয়া কাশিপুর থেকে সগৌরবে প্রায় ৩ কিমি রোড শো করে এসে বিজেপির সভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও তিনি পিসি ভাইপোকে তোপ দাগলেন। 'বিজেপির এতগুলি পরপর এতগুলি সভা দেখে দিশেহারা তৃণমূল' বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,'তৃণমূল এখনও কাটমানি খাওয়ার দল। বিনয় মিশ্রর মতো তোলাবাজে ভরে গিয়েছে তৃণমূল। বলতে বলতে আবার পিসির ভাইপোর কথা তোলেন তিনি। পুরুলিয়াবাসী যে এই তৃণমূল কোম্পানির ফাঁদে পা দেননি, তার জন্য তিনি প্রণাম জানিয়েছেন তিনি। সামনেই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন। এরপরেই তিনি বলেন পোলিং এজেন্ট দেওয়ার লোক পাবে না তৃণমূল। তবে এদিন শুভেন্দু অধিকারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা তোলেন। তা হল প্রধানমন্ত্রী যোজনা বা প্রকল্প। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন এত দিন অবধি আয়ুশমান ভারত তথা কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্পের আওতায় কেন আনা হয়নি রাজ্যবাসীকে, কেন নিজের স্বার্থস্বিদ্ধির জন্য রাজনৈতিক কারণে তিনি তা বাংলায় বন্ধ করে রেখেছিলেন।' উত্তর চেয়েছেন বিজেপির মহাযোদ্ধা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, 'নির্লজ্জতার কোনও সীমা নেই', বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে মমতাকে আক্রমণ মালব্য়ের
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, তারিখ এবং স্থান নিয়ে রীতিমত লড়াই-বিতর্ক শাসক দল এবং বিরোধী দলের মধ্য়ে। যা আগে কখনও দেখেনি বাংলা। একুশের বিধানসভার দোরগড়ায় তাই বিজেপিকে অনুকরণ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল, এমনটাই চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে। জমায়েতের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শনই হয়ে উঠেছে মূল বিষয়। তাই নাড্ডা-দিলীপ-মুকুল-শুভেন্দুকে হারাতে বর্ধমানের রোড শোয়ে কার্যত মরিয়া তৃণমূল যুব কংগ্রেস। রবিবার একই সময় পুরুলিয়ার কাশিপুর থেকে সভা শুরু করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মোট পথ ৩ কিলোমিটারের কাছাকাছি। 'বিজেপির এতগুলি পরপর এতগুলি সভা দেখে দিশেহারা তৃণমূল। বিজেপি কর্মীরা কখনই কেউ প্ররোচনায় পা দেননি। তাই ২১ এর ভোটে যে বাংলায় বিজেপিই আসছে।' সাফ জানান শুভেন্দু অধিকারী।