গত সপ্তাহেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। আর তারপরই শ্রাদ্ধের আয়োজন করা হল বিজেপি দফতরে। জানা গিয়েছে, মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি কার্যালয়ের সামনে মুকুল রায়ের ছবি রেখে শ্রাদ্ধ করেন যুব মোর্চার কর্মীরা। গঙ্গাজল দিয়ে অফিসও ধুয়ে ফেলেন তাঁরা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন মুকুল। কিন্তু, তারপর থেকেই বদলে যায় তাঁর আচরণ। যা তাঁর দলবদলের জল্পনাকে বাড়িয়ে যায়। বিজেপির হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। এমনকী, দলীয় বৈঠকেও যোগ দিচ্ছিলেন না তিনি। এরপর সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন- "ক্ষতি হয়নি", মুকুলের ঘর ওয়াপসিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব
২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। কার্যত তাঁর হাত ধরেই ভাঙন শুরু হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরে। একুশের নির্বাচনের আগে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখেও তাঁর প্রশংসা শোনা গিয়েছিল। যদিও মুকুলের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। মুকুলকে মীরজাফর, গদ্দার বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। আর মুকুল দল ছেড়ে চলে যাওয়ায় বিশেষ গুরুত্ব দেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, "তিনি থাকায় লাভ তো বিশেষ কিছু হয়নি। ক্ষতি আর কি হবে?" এদিকে আজ নাকি মুকুলের শ্রাদ্ধের আয়োজন করে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানাল গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন- রামকে নিয়ে উত্তপ্ত নেটদুনিয়া, রাহুল গান্ধী আর যোগী আদিত্যনাথের তরজা
আসলে মুকুল যে গেরুয়া শিবির ছাড়বেন সেকথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বিজেপি নেতারা। মুকুল বাড়ি থেকে তৃণমূল ভবন যাওয়ার সময় তাঁর কাছে দিল্লি থেকে অনেক ফোন আসে। কিন্তু, তিনি তা ধরেননি। তাঁকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, "মুকুলদা তো কোনওদিনই ভোটে জেতেননি। বিজেপি টিকিট দিয়ে জিতিয়েছেন। ২০০১ সালে জগদ্দলে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, জিততে পারেননি তিনি। ২০ বছর পর বিজেপি তাঁকে টিকিট দিয়ে জিতিয়েছে। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে বিজেপির অবস্থা ভালো। সেখানে কোনও বুথ সভাপতি দাঁড়ালেও জয়ী হতেন।"