দিন কয়েক ধরেই বেসুরো ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। মঙ্গলবার দলবিরোধী মন্তব্য করে আরও একবার উস্কে দিলেন সেই জল্পনা । বললেন তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ।মাত্র আধঘণ্টার অন্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে আবারও ভোলবদল করলেন তিনি। সুনীল মণ্ডল স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন তথাগগত রায়ের কথায় তিনি ক্ষুব্ধ। আর শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কথা রাখেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে অনেক কথাই বলেছিলেন। কিন্তু সেগুলি কোনওটাই তিনি পুরণ করেননি। সুনীল মণ্ডল বলেছেন শুভেন্দুকে নিয়ে তাঁর নতুন করে বলার মত কিছুই নেই। মুকুল রায়ের সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের-তাও জানিয়েছেন সাংসদ।
এবার 'সামরিক ট্রেন' চালিয়ে সফল ভারতীয় রেল, সেনা বাহিনীকে সাহায্য করতে বড় পদক্ষেপ ...
সুনীল মণ্ডল এদিন স্পষ্ট করে বলেন তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। তবে কোনও আশা নিয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, আবার কী তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে যাবেন- এই প্রশ্ন করা হলে সুনীল মণ্ডল বলেন, সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে চিন্তাভাবনা করবেন। এখনও তা নিয়ে কোনও চিন্তাভাবনা করেননি বলেও জানিয়েছেন সুনীল মণ্ডল। তবে আরও এক দলবদলু নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মত তিনিও জনতার রায়কে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে বলেন এখনও ৩৫৬ ধারা নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া না করাই শ্রেয়। দুই তৃতীয়াংশ জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেটাকে সম্মান জানাতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন করেন বলেও জানিয়েছেন। তবে বিজেপির হার নিয়ে দলের অন্দরে পর্যালোচনা করা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের সঙ্গে তিনি এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি বলেও জানিয়েছেন।
রাজ্যে শুরু হচ্ছে শিশুদের শরীরে করোনা টিকা পরীক্ষা, জানুন বিস্তারিত
তবে গেরুয়া শিবিরে যে তিনিও অস্বস্তিতে রয়েছেন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দেন সুনীল মণ্ডল। তিনি বলেন বিজেপির পুরনো নেতা কর্মীরা নতুনদের মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূল থেকে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে তাঁরা মানিয়ে নিতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন অনেক বিচক্ষণ নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিল। সকলকে বিজেপির পুরনো নেতারা বিশ্বাস করতে পারেননি। আর সেই জন্যই দলের অন্দরে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রথমে তিনি বলেছিলেন বাইরের রাজ্য থেকে এই রাজ্যে অনেক নেতাই এসে ভাষণ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা রাজ্যের মানুষ ভালোভাবে নেয়য়নি। পরবর্তীকালে তিনি বলেন দিল্লী নয় প্রবাসী নেতাদের সঙ্গে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু ভাষাগত সমস্যা থাকায় কমিউনিকেশন গ্যাপ থেকে গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন। জনসভার পাশাপাশি মানুষের কাছে যাওয়াও অত্যন্ত জরুরি ছিল।
রামকে নিয়ে উত্তপ্ত নেটদুনিয়া, রাহুল গান্ধী আর যোগী আদিত্যনাথের তরজা ...
ফরোয়ার্ড ব্লক থেকে জিতে বিধায়ক হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে দু দুবার সাংসদ হন সুনীল মন্ডল। এরপরে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যোগ দেন বিজেপিতে। ভোটের আগে এক আধিকারিককে ধমক দিয়ে খবরেও আসেন। ভোটের ফল প্রকাশের পর আবার অন্য সুরে কথা বলছেন সুনীল। তাই একদিনে দুবার বয়ানবদল। তিন দল করে তাঁর অবস্থা ত্রিশঙ্কু বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।