রাজ্য়ের প্রাথমিক টেটের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে আইনি জট কাটল। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আর কোনও বাধা নেই ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে। যাঁরা নিয়োগপত্র পেয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদেরও অশ্চিয়তা ঘুঁচল।
আরও পড়ুন, কয়লাকাণ্ডে রেলের ৩ অফিসারকে নোটিস পাঠাল CBI, উঠে এল 'লালা' সম্পর্কিত নয়া তথ্য
এদিকে ভোটের দিন ক্রমশ এগিয়ে আসছে। তার আগেই হাইকোর্টের রায়ে, এমন সুখবরে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে ২ মাসের মধ্য়েই প্রথম ধাপে ফল প্রকাশ করা হয় ১৫ হাজার ২৮৪ জনের। সেই মতই শুরু হয় নিয়োগ। অনেকেই হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে স্কুলের চাকরিতেও যোগ দেন। কিন্তু নিয়োগে অস্বচ্ছতা আছে বলে চাকরিপার্থীদের একাংশ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। এর ফলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আদালতে স্থগিতাদেশের পর তাঁদের বেতন বন্ধ করা নিয়ে প্রাথমিকভাবে নির্দেশিকা জারি হয়। যদিও তা একদিনের মধ্যেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, রবিবার বাংলার ময়দানে মুখোমুখি ২, মোদীর ব্রিগেডের দিনেই শিলিগুড়িতে মহামিছিলে মমতা
এদিকে বুধবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা থাকলেও পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বৃহস্পতিবারই শুনানি হয়। আর তারপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।