২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন ফাইনাল পরীক্ষা হয়, তাহলে সোমবারের নন্দীগ্রামে মমতার সভা ছিল টেস্ট পরীক্ষা। আর সেই নন্দীগ্রামের সভা থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে নাম না করলেই আক্রমণটা বিজেপি নয়, অনেক বেশি শুধুমাত্র শুভেন্দুর দিকেই ছিল। ভাইপো-পিসির উপরে পাচার কাণ্ড-আর্থিক কেলেঙ্কারির জেরে চোরের অপবাদ ভূলতে পারেননি শুভেন্দুর ছেড়ে আসা দলের 'দিদি', চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন, 'ওয়াশিং পাউডার ভাজপা', BJP-র অন্তরালে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ মমতার
এদিন নন্দীগ্রামের সভা মঞ্চ থেকে আবেগতাড়িত হয়ে মমতা বলেন, ' ভুল করলে গালে থাপ্পর মেরো, মুখ ফিরিয়ে নিও না মা। তিনি আরও বলেন, 'কেউ যদি চোরের অপবাদ দিলেও আমি কিছু বলবো না- ঈশ্বর-আল্লা ওদের ক্ষমা করো'। এদিকে সভায় বারংবারই নাম না তুলে 'ইধার-উধার' বলে হাফ বাংলা-হাফ হিন্দিতে বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে অধিকারী পরিবারকে তোপ দাগলেন। এবং তিনি আরও বললেন,' নন্দীগ্রামকে কোনও দিন ভুলিনি। কোনও দিন ভুলব না। আন্দোলনকে কেউ ভুলিনি।'নতুন করে নন্দীগ্রামে জন্ম হল তৃণমূলের ।'
আরও পড়ুন, 'ভোটার লিস্টে রোহিঙ্গাদের নাম ঢুকিয়েছে তৃণমূল', অভিযোগ শুভেন্দুর
তবে নন্দীগ্রামে এদিন এসে সবার আগে তিনি স্মৃতি শহরে গেলেন। বললেন সেই আন্দোবনের দিনগুলির কথা। তৎকলাীন রাজ্যপালের ফোন করে সতর্কবার্তা দেওয়ার কথা। বহু হামলা পেরিয়েও সদ্য অপারেশন হয়ে বেরিয়ে আসা পরও তিনি থেমে থাকেননি। লড়াই চালিয়েছিলেন এই নন্দীগ্রামেই। তাই নন্দীগ্রাম তার খুব আপন একথা বারবার তিনি বলেন। এখানে আসেন প্রায়শই সেকথাও উল্লেখ্ করেন তিনি। এদিন তিনি জানান গ্যাস প্রকল্প শুরু হলে নন্দীগ্রামের ছেলে-মেয়েদের আর বাইরে যেতে হবে না। এখানেই তারা কাজ পাবেন বলে আশ্বস্থ করেন তিনি। তবুও ভোটের দোরগড়ায় এসে এত প্রতিশ্রুতি শুনে, ১০ বছর কেন সাড়া মেলেনি, এই প্রশ্ন ঘুরে বেরাচ্ছে বারবার রাজনৈতিক মহলে।