অধীর চৌধুরী জানান, দিল্লি চাইছে না কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ুক। সেই জন্যই প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) কংগ্রেসের (Congress) গড় ধরে রাখতে সাবধানী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি (State congress President) অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। সেইমতো শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা না করার কৌশলী বার্তা দিলেন। পাশাপাশি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে মুর্শিদাবাদের নেতা কর্মীদের মধ্যে বিদ্রোহ দমাতে এআইসিসির নির্দেশ পালন করে তা মেনে চলার পরামর্শও দিলেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সাফ জানান, দিল্লি চাইছে না কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ুক। সেই জন্যই প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় কর্মী নেতাদের উদ্দেশ্যে অধীর চৌধুরী বলেন,"আপনাদের সকলের দিল্লির বার্তা বুঝে যাওয়া উচিৎ। সাধারণ কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা কেউ এআইসিসির বাইরে নন"। অর্থাৎ তিনি পরোক্ষভাবে তৃণমুল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থনের কথা বলেছেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে জানেন, মজার প্রশ্নে হোঁচট খাচ্ছেন ৯৯ শতাংশ মানুষ
ক্রমশ কমছে সম্পত্তির পরিমাণ, জানেন এখন কত টাকার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মৃত্যুর পরের এক ঘন্টায় দেহের সাথে কী কী হয়, না শুনলে বিশ্বাস করবেন না
ইতিপূর্বে অধীর বাবু দাবি করেছিলেন, বিজেপিকে আলাদা ভাবে সুযোগ যাতে না করে দেওয়া হয়, তাই ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অধীর চৌধুরী জানালেন,"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কগ্রেস হাই কমান্ডের। দিল্লি থেকেই নির্দেশ এসেছে যাতে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এদিন তিনি এও বলেন, ”কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অধীনে আমি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অধীনেই প্রত্যেকটা পার্টি কর্মী। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেছে মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করো না। তাই আমরা করছি না। সাধারণ কগ্রেস কর্মীদের বা সমর্থকদেরও দিল্লির সেই বার্তা বোঝা উচিৎ।’ তিনি আরও জানান, ভবানীপুরে কোনও প্রচারও করবেন না তাঁরা। ভবানীপুরে কাকে ভোট দেওয়ার পক্ষে কংগ্রেস? এই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, ‘কংগ্রেস কারো হয়ে আলাদা করে প্রচারও করবে না। মানুষ যাকে খুশি ভোট দেবে। কে কোথায় ভোট দেবে তা আমরা জানি না। মানুষের গণতান্ত্রিক ব্যাপার"।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের জোট সঙ্গী সিপিএম ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ার জন্য বামপন্থী আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস বেছে নেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামবেন শ্রীজীব। কার্যত অধীর চৌধুরীর অবস্থা এখন শাঁখের করাতের মতো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একদিকে মাথার ওপর এআইসিসির খাঁড়া। অন্যদিকে আগামী দিনে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। এই দুয়ের মাঝে এখন আটকে রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।