শেষ দুই দফার ভোটের আগে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে সীমান্তের জেলা মুর্শিদাবাদ।কংগ্রেস তৃণমূল তুমুল সংঘর্ষে বোমাবাজিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে মৃত্যু কংগ্রেস কর্মীর এবং আহত একাধিক। রাতের শেষ নমাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন কংগ্রেস কর্মী কাশেম আলি। ঠিক তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন, করোনায় আক্রান্ত রেলের রান্নাঘরের কর্মীরা, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভরসা 'রেডি টু মিল', দেখুন ছবি
রাতভর বোমাবাজি আর সংঘর্ষের জেরে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রক্তাক্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক কংগ্রেস কর্মীর বলেই অভিযোগ। ঘটনায় মুর্শিদাবাদের বিলধারীপাড়ার ঘোষালপুর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মৃত ওই মধ্য বয়সি কংগ্রেস কর্মীর নাম কাশেম আলি। ঘটনার জেরে বিবাদমান দুই পক্ষ কংগ্রেস তৃণমূলের সংঘর্ষের ফলে কমপক্ষে ১২জন জখম হয়েছে বলেই শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই শাসক দল বনাম কংগ্রেসের সংঘর্ষের ফলে এলাকায় উত্তেজনা বাতাবরণ তৈরি হয়।গতকাল রাতে তা চরমে গিয়ে পৌঁছায়। যার জেরে আচমকা বিলধারীপাড়ার ঘোষালপুর এলাকায় তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে দেদার বোমাবাজি। এমনকী গুলি ছোঁড়ার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন, কোভিডে ভয়াবহ অবস্থা, একদিনেই মৃত্যু ৪৬ জনের, আক্রান্ত ১০ হাজার ছুঁইছুঁই
সংঘর্ষের জেরেই এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয় ঐ কংগ্রেস কর্মী কাশেম আলির। এলাকা সূত্রে জানা যায়, রাতের শেষ নমাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন কাশেম। ঠিক তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বোমার আঘাতে জখম কাশেম আলি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। যদিও বোমবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, হরিহরপাড়ার এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে স্থানীয় কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মীর আলমগীর পলাশ বলেন,'আমাদের কর্মীদের ভোটের আগে চক্রান্ত করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করছে। আসলে মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের হাত থেকে চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে এই কাণ্ড ঘটায় তারা।'