এবার লক্ষ্যে পুরোভাট। বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে বামেদের ভরাডুবির পর এবার পুরসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বামেরা।
২০২১-এর লক্ষ্যে ছিল বিধানসভা নির্বাচন (Election)। যেখানে জোর কদমে মাঠে নেমে প্রচার করার পরও তেন একটা ফল চোখে পড়েনি লাল শিবিরের (CPIM)। গেরুয়া শিবিরের ছবিটাও খানিকটা তাই। বছর শেষে আবারও নির্বাচনের ঝড়। এবার লক্ষ্যে পুরোভাট (Municipality Election)। বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে (Shiliguri) বামেদের ভরাডুবির পর এবার পুরসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বামেরা। হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। এমন সময় বিভিন্ন শিবিরেরে প্রচার চলছে পুরো দমে। নিজেদের জমি ফিরে পেতে মরিয়া বামেরাও এবার চুপ করে বসে নেই। বরং আবারও মাঠে নেমে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আর সেই প্রস্তুতির মুহূর্তেই এবার নিয়ে ফেলল বড় সিদ্ধান্ত।
শিলিগুড়ি পুরনিগম নির্বাচনের আগে দার্জিলিং জেলার সম্পাদক জীবেশ সরকারের জায়গায় সমন পাঠককে দায়িত্ব দেওয়া হল জেলা সম্পাদকের। দুদিন ব্যাপি চলে সিপিআইএমের ২৩ তম জেলা সম্মেলন। আর সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে উপস্থিত ছিল সিপিআইএমের সূর্যকান্ত মিশ্র৷ দলকে মজবুত করতে নেওয়া হয় এই সম্মেলনিতে একাধিক সিদ্ধান্ত। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত হল জেলায় ৪০ জনের কমিটি গঠন করে করা হয়। এই কমিটি সব দিক খতিয়ে দেখে পরিস্থিতি সম্পর্কে থাকবে অবগত। পাশাপাশি সমন পাঠককে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। লোকসভা নির্বাচনে সমন পাঠককে জেলার প্রার্থী করার পর তিনি জয়ী না হলেও, বিগত কয়েক বছর ধরেই শ্রমিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল সমন পাঠক। তাই পুরনিগম ও মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে সমন পাঠকের ওপর ভরসা করল দল।
এই সম্মেলনে বেশ কিছু বিষয়কে এদিন তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী এই রাজ্যে সকলকে বাংলা বলতে হবে, এই নির্দেশকে কটাক্ষ করে সামনে আনা হয়, তা নিঃসন্দেহে সমস্যর। যা রীতিমত ভয় সৃষ্টি করে। এখনে হিন্দি ভাষী আছে, আছে উর্দূ ভাষী, তাই কেন হঠাৎ করে এই ধরনের কথা কেন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন! এর জেরে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে, বিশেষ করে পাহাড়ে। তাই এই নিয়ে প্রতিবাদ করে এদিন বামেরা। বামেদের এই প্রস্তাব ও কমিটি সর্ব সম্মতি গ্রহণ পেয়েছে, নবীনদের দায়িত্বে আনাার চেষ্টার করার জন্যই এদিন সুমন পাঠকের নাম আসে বলেও জানানো হয় বামেদের পক্ষ থেকে।