সংক্ষিপ্ত

'আমরা চাই কলকাতার সমস্যার সমাধান হোক', রবিবার  বেহালা ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনীত বিজেপি প্রার্থী শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্যের সমর্থনে এদিন জনকল্যাণ এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচারে বেরোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

 

রবিবার পুরভোটের বিজেপির প্রার্থীর প্রচারে শহরে দিলীপ ঘোষ।  বেহালা ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনীত বিজেপি প্রার্থী শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্যের (Behala 123 Ward BJP candidate Sharmistha Bhattacharya  ) সমর্থনে এদিন জনকল্যাণ এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রচারে বেরোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (BJP Leader Dilip Ghosh)।

'দেশের বড় বড় কর্পোরেশন বিজেপি চালায়'-দিলীপ 

 এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা চাই কলকাতার সমস্যার সমাধান হোক। সিপিএম অনেক বছর চালিয়েছে। তারপর তৃণমূল প্রায় ১৫ বছর। কিন্তু বেসিক সমস্যার সমাধান এখন পর্যন্ত হয়নি। আর তার সঙ্গে হিংসা দুর্নীতি তো রয়েছেই। দেশের বড় বড় কর্পোরেশন বিজেপি চালায়। সেই সব অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তাই আমরা চাই মানুষের সেবা করতে। এবং আধুনিক কলকাতা তৈরি করতে চাই।  আমরা ইতিমধ্যে ৫০ জন মহিলাকে ক্যান্ডিডেট করেছি এবং তারা সাধারণ মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করছে। লড়াই সব সময় কঠিন তৃণমূলের জন্যও কঠিন আমাদের জন্যও কঠিন। সমাধান মানুষ করবে।  আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এলাকায় আমি কাল থেকে প্রচার করছি। উনি হাঁটতে পারেন না তাই উনি কোথাও যেতে পারছেন না। ওনারা ভাবছে মানুষকে চমকে ধমকে ভোট করাবে। কিন্তু তা হবেনা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বেশিদিন এসব সহ্য করবে না। শুধু বেহালায় নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পুরসভা ভোটের আগে পোস্টার ছিঁড়ে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছে তৃণমূল। নেতারা বলছি সব চলবে না আবার নিজেরাই এসব করছে।  আমরা আশা করব শান্তিপূর্ণ ভোট হবে পুরসভায়।'  তৃণমূলের মুখপত্রে জয় গোস্বামীর লেখা নিয়েও তোপ দাগতে ছাড়েননি জয় গোস্বামী।

তৃণমূলের মুখপত্রে মমতার জয়গানে জয় গোস্বামী, 'যাদের পেট ভরেনি তারা আবার রাস্তায় নেমেছে'-দিলীপ  

অপরদিকে, বাংলার অন্যতম এযুগের শ্রেষ্ঠ কবি জয় গোস্বামী তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় এক উত্তর সম্পাদয়কীয়তে দাবি করেছেন, কলকাতা অচিরেই ব্যাধিমুক্ত হবে। দ্রুত আরোগ্যের পথে সিটি অফ জয়। সেই সঙ্গে কবির সংযোজন, গত এক দশকের তৃণমূলের জমানায় রোগক্লিষ্ট শহরটা সেবাযত্নে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পরিচালনায় ফিরহাদ হাকিমের মহানাগরিকত্বে এই অসুখেরও শুশ্রুষা চলেছে এবং আমি নিশ্চিত তা সেরেও যাবে বলে জানিয়েছেন কবি জয় গোস্বামী। এদিন তৃণমূলের মুখপত্রে জয় গোস্বামীর লেখা নিয়ে ও জয় গোস্বামীর ফিরহাদ হাকিমকে প্রশংসা নিয়ে বললেন,  'প্রশংসা যে কেউ করতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েও অনেকের প্রশংসা করেছেন বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের লোকজন। যারা ছবি আঁকতেন তারা আজকে কোথায়, তাদের পেট ভরে গেছে। যাদের পেট ভরেনি তারা আবার রাস্তায় নেমেছে।'