Bangladesh Liberation War: মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর, হিলিতে ভারতীয় শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ্য সেনার

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২০২ মাউন্টেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার এইচএস মাভি, জেলা শাসক আয়েশা রানী, জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে, ৬১ বিএসএফের টুআইসি জটাশঙ্কর সিং, আইসি গণেশ শর্মা, বিডিও অমিতদেব মণ্ডল।

Web Desk - ANB | Published : Dec 12, 2021 4:10 PM IST

মুক্তিযুদ্ধের (Bangladesh Liberation War) সময় শহিদ হয়েছিলেন অনেকেই বহু ভারতীয় সেনা (Indian Army)। হিলি প্রান্তে (Hili Border) শহিদ দিবস (Martyr's Day) পালন করা হল সেনার তরফে। রবিবার (Sunday) শহিদ বেদি প্রাঙ্গণে পূর্ণ মর্যাদায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সেনা জওয়ানরা। শহিদ দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রাক্তন সৈনিক বোর্ড। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২০২ মাউন্টেন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার এইচএস মাভি, জেলা শাসক (District Magistrate) আয়েশা রানী, জেলা পুলিশ সুপার (Police Super) রাহুল দে, ৬১ বিএসএফের টুআইসি জটাশঙ্কর সিং, আইসি গণেশ শর্মা, বিডিও অমিতদেব মণ্ডল।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তান (Pakistan) ও পশ্চিম পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সমর্থনে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় সেনা। ২৩ নভেম্বর থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) হিলি দিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছিল ভারতীয় সেনারা। যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্থানের ভেতরের বাঙ্কার দখল করে ভারতীয় সেনারা। ওই বাঙ্কার ১১ ডিসেম্বর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সেনারা। সংঘর্ষে ৪০০-র বেশি সেনা জওয়ান শহিদ হন। পরের দিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর হিলি রমানাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শহিদ সেনাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াকে মুক্তিযুদ্ধে গণদাহ বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর ২০০৩ সাল থেকে হিলিতে ১২ ডিসেম্বর শহিদ দিবস পালন করছে ভারতীয় সেনার ২০২ মাউন্টেন ব্রিগেড।

মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে প্রতিবছরের মতো শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হল। শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন ব্রিগেডিয়ার, জেলা শাসক, পুলিশ সুপার ও বিএসএফের (BSF) আধিকারিরা। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জেলা শাসক। অনুষ্ঠান মঞ্চে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, প্রাক্তন সেনা কর্তাদের হাতে স্মারক তুলে দেন ভারতীয় সেনা। সংগীত ও নৃত্যের মধ্যে দিয়ে শদিহদের স্মরণ করা হয়। 

জেলা প্রাক্তন সৈনিক বোর্ডের তরফে কলাকুশলীদের স্মারক দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। শহিদ স্মরণে রক্তদান (Blood donation) ও চক্ষুদান শিবিরের (Eye donation camp) আয়োজন করে নবদিগন্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ফিতে কেটে রক্তদান ও চক্ষুদান শিবিরের শুভারাম্ভ করেন ব্রিগেডিয়ার, জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার। ওই শিবিরে ২৯ জন রক্তদান ও ১৮ জন চক্ষুদান করেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয়রা শহিদ বেদির উন্নয়নের দাবিতে ব্রিগেডিয়ার ও জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

Share this article
click me!